Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি

অনেক এলাকায় রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়িতে এখনো পানি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ এএম

বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। অনেক এলাকায় রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ির পানি এখনো কমেনি। ফলে বানভাসি মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। বন্ধ হয়ে আছে আয় উপার্জন। মানবেতর জীবন যাপন করছেন নি¤œ আয়ের মানুষ। প্রত্যন্ত এলাকার সাথে উপজেলা ও জেলা সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বানভাসিদের অনেকের ঘরে খাবার নেই। বন্যাকবলিত এলাকায় নেই সুপেয় পানি। দফায় দফায় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেক টিউবওয়েল নষ্ট হয়ে গেছে। দুষিত পানি খেয়ে মানুষ রোগাক্রান্ত হচ্ছে। ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিসসহ নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বন্যার্তরা এখন দিশেহারা।
বন্যা প‚র্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও পদ্মার পানি হ্রাস পাচ্ছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনার অববাহিকার প্রধান নদীসমূহেও পানি কমছে। যা আগামী ২৪ ঘন্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এর ফলে মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ি ও ফরিদপুর জেলার নি¤œাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, দক্ষিণাঞ্চল সহ উপকূলভাগে প্লাবন পরিস্থিতির যথেষ্ঠ উন্নতি হলেও এখনো বিপুল পরিমান জমির ফসল পানির তলায়। দক্ষিণাঞ্চলের সব ফসলি জমি প্লাবনমূক্ত হতে আরো ৩-৪ দিন সময় লাগতে পারে। তবে উঠতি আউশ, রোপা আমন ও আমন বীজতলা কতটুকু রক্ষা পাবে তা বলা কঠিন। প্লাবিত পুকুর, দিঘির মাছ ভেসে গেছে। এবারের এ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষক ও মৎস্য চাষীরা।

গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশালে ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পরে দুপুর ১টার দিকে আরো ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলসহ উপকূলভাগে আরো দু-তিন দিন বৃষ্টিপাতের সম্ভবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। লঘুচাপের প্রভাবে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলে এবং উপকূলীয় এলাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়া সহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি এবং বজ্র বৃষ্টির সম্ভবনার কথাও বলা হয়েছে আবাহাওয়া বুলেটিনে। সে সাথে দক্ষিাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরেনর ভারি থেকে ভারি বর্ষনও হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চল সহ উপক’লীয় এলাকায় গতকাল কিছুটা বৈরী আবহাওয়া ছিল। বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের সব নদী বন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। কুয়াকাটা সৈকতে ২Ñ৫ ফুট উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ছে। আবহাওয়া বিভাগ থেকে পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরারত সব নৌকা ও ট্রলার সমুহকে উক’লের কাছাকাছি থেকে সবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, জেলার সবকটি নদীর পানি কমতে থাকলও ধলেশ্বরি নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি মানুষের দুর্ভোগ। এখনো পানিবন্দি রয়েছে হাজার হাজার মানুষ। অনেক জায়গায় প্রত্যন্ত এলাকার সাথে উপজেলা ও জেলা সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এদিকে ভূঞাপুর, গোপালপুর নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলা নি¤œাঞ্চল হওয়ায় পানি কমলেও এখনও তাদের বাঁশের সাকো ও নৌকা দিয়েই যাতায়াত করতে হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পানি

২৫ অক্টোবর, ২০২২
২১ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ