Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আশঙ্কা সত্য হলো ডুবলো ভবদহ

মিজানুর রহমান তোতা | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০২০, ২:৪১ পিএম

বর্ষা শুরুর আগেই দৈনিক ইনকিলাবসহ পত্র-পত্রিকার রিপোর্টে ও ভবদহ পানি নিষ্কাশন কমিটির সংবাদ সম্মেলনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল ভবদহ আবার ডুবতে যাচ্ছে। সেই আশঙ্কা সত্য হলো। ডুবলো ভবদহ।

ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা রাজনৈতিক নেতা ইকবাল কবীর জাহিদ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আমরা বারবারই বলেছি ভবদহের ২১ ও ৯ ভেন্টের মাঝখান দিয়ে নদী সংযোগ ও বিল কপালিয়াসহ পর্যায়ক্রমে বিল খুকশিয়াসহ সব বিলে টিআরএম চালু এবং উজানে নদী সংযোগ বিশেষ করে ভৈরবের সাথে মুক্তেশ্বরীর সংযোগ স্থাপন করলে ভবদহের স্থায়ী সমাধান হবে। কিন্তু কর্ণপাত করা হয়নি। ভবদহ ডুবে গেল। পানি ঢুকেছে লোকালয়ে।

তার কথা, ভবদহ সমস্যা জিইয়ে রেখে কায়েমী স্বার্থবাদী মহল ও পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পের পর প্রকল্প গ্রহণ করে অর্থ লোপাটের কারখানায় পরিণত করার কারণেই এই পানিবদ্ধতা। বরাবরই সংশ্লিষ্টরা চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। যশোর ও খুলনার বিরাট এলাকার অভিশাপ ভবদহ স্লুইস গেট। বছরের পর বছর কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি। বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় বিরাট এলাকায় পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এবারও তাই হলো।

এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের ক্ষোভ, এভাবে পানি বন্দি হতে হচ্ছে আমাদের। কিন্তু স্থায়ি সমাধানের কোন ব্যবস্থা নেই। সরেজমিন দেখা গেছে, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ভবদহ এলাকায় পানি থৈ থৈ করছে। অভয়নগর উপজেলার ডুমুরতলা, ডহরমশিহাটি, বেদভিটা, বারান্দী ও দিঘলিয়া, মণিরামপুরের সুজাতপুর, পোড়াডাঙ্গাসহ ২০/২২টি গ্রামে পানি ঢুকেছে। মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ডুমুরতলা গ্রামে অসিত কুমার বললেন, পানিবন্দি হয়ে খুব কষ্টে আছি।

ভবদহ এলাকায় পানি আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকেই উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। ভবদহ স্লুইসগেটের ২১টি কপাটের সব কটি এখন পানির নিচে। পানি বের হতে পারছে না।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমডাঙ্গা ও ভবদহ গেট দিয়ে পানি নামানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভবদহের প্রজেক্ট সম্পর্কে বলেন, ৮০৭ কোটি টাকার প্রজেক্ট ফাইলটি অনুমোদনের জন্য প্øানিং কমিশনে আটকে রয়েছে। তাছাড়া টিআরএম চালু ও টিআরএম বিরোধী বিনোধ প্রজেক্ট অনুমোদন থমকে আছে। তবে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, সংলগ্ন ভবদহ স্লুইস গেট সংলগ্ন শ্রীনদী, টেকা, হরিহর ও মুক্তেশ্বরী এই ৪টি নদী রয়েছে। স্লুইস গেট দিয়ে বিল কেদারিয়া, বিল খুকশিয়া,বিল কপালিয়া, বিল বকর ও বিল আড়পাড়াসহ যশোর ও খুলনা এলাকার বড় ২৭টি বিলসহ ৫৪টি বিলের পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। প্রতিটি বর্ষা মৌসুমে বিল তীরবর্তী আশেপাশের শত শত গ্রামে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ভয়াবহতায় রূপ নেয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ