পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে দরিদ্র পরিবারগুলো আর্থ-সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সম্প্রতি পরিচালিত এক গবেষণায় এমন তথ্য পেয়েছে আইসিডিডিআর,বি। গবেষণায় দেখা গেছে, ৯৬ শতাংশ পরিবারের গড় মাসিক উপার্জন কমেছে এবং ৯১ শতাংশ নিজেদেরকে অর্থনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল মনে করেছেন।
প্রকৃতপক্ষে, ৪৭ শতাংশ পরিবারের আয় আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য সীমার নিচে (১৬০ টাকা অথবা ১ দশমিক ৯০ ইউএস ডলার/প্রতিজন/প্রতিদিন) চলে গিয়েছিল। অধিকন্তু, পরিবারগুলোর ৭০ শতাংশ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং ১৫ শতাংশ খাদ্য সংকট, অভুক্ত অবস্থায় অথবা কোনো এক বেলা আহার না করে ছিলেন।
আইসিডিডিআর,বি গবেষক দল এবং ওয়াল্টার এলিজা হল ইন্সটিটিউট-অষ্ট্রেলিয়া যৌথভাবে বাংলাদেশের গ্রামীণ মহিলা ও তাদের পরিবারের ওপর করোনা বৈশ্বিক মহামারী এবং এর কারণে আরোপিত ঘরে থাকার নির্দেশের প্রভাব দেখেছেন। সেখানে দেখা গেছে, করোনার জন্য ঘরে থাকার নির্দেশনা (লকডাউনের) বাংলাদেশের নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো বিশেষত নারীরা অর্থনৈতিক দুরাবস্থায় পড়েছেন। পাশপাশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, পারিবারিক নির্যাতন এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হয়েছে।
বিশ্বের অনেক দেশের মতোই করোনা প্রতিরোধকল্পে বাংলাদেশে প্রায় দুই মাস ঘরে থাকার নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপগঞ্জ, ভুলতা ও গোলাকান্দাইল ইউনিয়নে চলমান গবেষণা নেটওয়ার্কের আওতায় গবেষক দল ২ হাজার ৪২৪ পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা, খাদ্য নিরাপত্তা, মানসিক স্বাস্থ্য এবং পারিবারিক নির্যাতনের ওপর লকডাউনের প্রভাব দেখেছেন।
মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিভাগ, আইসিডিডিআর,বি’র ইমিরেটাস বিজ্ঞানী এবং প্রধান গবেষক ডা. জেনা দেরাকসানী হামাদানি বলেন, গবেষণার উদ্দেশ্য বাংলাদেশের গ্রামীণ নারীদের এবং তাদের পরিবারের উপর করোনা মহামারীর প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরে থাকার নির্দেশাবলীর প্রভাব নিরুপন করা। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা প্রমান করে তারা অর্থনৈতিক চাপে রয়েছে। এই গবেষণা মহামারীর ফলে বৈশ্বিক খাদ্য ও পুষ্টির বিপর্যয় নির্ণয়ে একটি মডেল তৈরিতে সহায়ক হবে।
লকডাউনের প্রভাবের ব্যাপারে ওয়াল্টার এলিজা হল ইন্সটিটিউট-এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. শান্ত রায়ান পারিচা বলেন, লকডাউনের পূর্বের এবং লকডাউন থাকা অবস্থায় পরিবারগুলো কিভাবে চলছিল- তা তুলনা করে দেখতে পেয়েছি যে, তারা লকডাউনের সময় অর্থনৈতিক এবং মানসিক দিক দিয়ে বিশেষ চাপের মধ্যে ছিলেন। গবেষণাটি ‘অষ্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল’ এর অর্থায়নে এবং ‘দোহার্টি ইন্সটিটিউট ও মোনাস ইউনিভার্সিটি’ এর অংশীদারিত্বে পরিচালিত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।