Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এস আই শামীম প্রত্যাহার, বহাল ওসি আসাদুজ্জামান

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২০, ৮:৫৩ পিএম

অবশেষে বাধ্য হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম আল মামুনকে প্রত্যাহার রকা হয়েছে। বুধবার (২৬) আগস্ট জেলা পুলিশ সুপার মো: জাহেদুল আলমের নির্দেশে তাকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। গণধর্ষণের পর মৃত স্কুল ছাত্রী জিসা মনি (১৫) জীবত উদ্ধার হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন আলোচিত এসআই শামীম। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
এদিকে এস আই শামীম প্রত্যাহার হলেও ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না সদর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান। এস আই শামীম ওসি আসাদুজ্জামানের সাথে পরামর্শ এবং আলোচনা করেই সব করেছেন। সেখানে ওসিকেও প্রত্যাহার করা উচিৎ। তাহলে তদন্ত কমিটির তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠার সুযোগ থাকবে না বলে মনে করছেন আসামী পক্ষের আইনজীবি ও ভুক্তভোগিরা।
ধর্ষণ ও হত্যার শিকার স্কুল ছাত্রী জিসা মনির লাশ নদীতে ফেলে দেয়ার ৪৯ দিন পর ওই স্কুল ছাত্রী জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলেও এসআই শামীম বহাল তবিয়তে ছিলেন। যদিও জিসা মনি অপহরণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন এস আই শামীম আল মামুন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে আসামিপক্ষের আইনজীবি মো: রোকন উদ্দিন অভিযোগ করছেন, মামলার বাদি ও পুলিশ মিথ্যা মামলার নাটক সাজিয়ে নিরপরাধ তিনজনকে আসামি বানিয়ে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন ও জবানবন্দি আদায় করেছে।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার স্কুলছাত্রী গত ৪ জুলাই নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর ১৭ জুলাই সদর মডেল থানায় একটি জিডি করেন স্কুলছাত্রীর বাবা। এক মাস পর ৬ আগস্ট একই থানায় স্কুলছাত্রীর বাবা অপহরণ মামলা করেন। ওইদিনই পুলিশ বন্দর উপজেলার বুরুন্ডি খলিল নগর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২২) ও তার বন্ধু বুরুন্ডি পশ্চিমপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে রকিবকে (১৯) এবং ৭ আগস্ট বন্দরের একরামপুর ইস্পাহানি এলাকার বাসিন্দা নৌকার মাঝি খলিলকে (৩৬) গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। ৯ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শামীম আল মামুন জানায়, স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয় আসামিরা। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় এ ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। অথচ ২৩ আগস্ট দুপুরে ৪৯ দিন পর সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে স্কুল ছাত্রী জিসা মনি। এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয় সর্বত্র।
গ্রেপ্তারকৃত তিন জনের স্বজনদের অভিযোগ রিমান্ডে নিয়ে এস আই শামীম পিটিয়ে ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের আদালতে জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেছে। তারা আরও বলেন, তিন আসামীর স্বজনদের কাছ থেকে এসআই শামীম দফায় ফায় ৪৭ হাজার টাকাও নিয়েছে রিমান্ডে মারবে না এই শর্তে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ