পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারত থেকে সর্বনাশা ফেনসিডিল ঢোকা কোনভাবেই রুখা যাচ্ছে না। বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ প্রতিনিয়ত মাদক ব্যবসায়িসহ ফেনসিডিল আটকের পরও থামছে না। উপরন্তু, ভারত থেকে নতুন মাদক ঢুকতে শুরু করেছে। ফেনসিডিলের মতোই দেখতে তার নাম ডিয়ালাক্স।
শুধুমাত্র যশোর অঞ্চলে গত ৫ দিনের ব্যবধানে চিত্র থেকে কী পরিমাণ ফেনসিডিল ঢুকছে তা অনুমান করা যায়। র্যাব-৬ অভিযান চালিয়ে যশোর চাঁচড়া থেকে ৪শ’ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি প্রাইভেটকার ও তিনজন মাদক ব্যবসায়িকে আটক করে। চৌগাছা পুলিশ মাদক ব্যবসায়ির বাড়ি থেকে ৩৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। ঝিনাইদহের মাধবখালী থেকে ২১ বোতল ডিয়ালাক্স উদ্ধার করে ৫৮ বিজিবি। এইভাবে প্রায়ই ভারতীয় মাদকদ্রব্য আটক হচ্ছে। তারপরও থামছে না।
ফেনসিডিলের সাথে যোগ হয়েছে নতুন মাদক ডিয়ালাক্স। ভারতের রেড্ডিস ল্যাবরেটরিজের তৈরি ডিয়ালাক্স সিরাপটি কফ সিরাপ হিসেবে ব্যবহার হয় ভারতে। তাতে কোডিন মরফিনের মতো মাদকের উপাদান রয়েছে বলে জানা যায়। দেশের মাদকসেবীদের কাছে প্রিয় ডিয়ালাক্স। রোন পোলেঙ্ক কোম্পানি ফেনসিডিলও কফ সিরাপ হিসেবে তৈরি করে। যা এখন পুরোপুরি মাদকদ্রব্য হিসেবে ব্যবহার হয় বাংলাদেশে। গত ২২ আগস্ট মহেশপুর বিজিবি ডিয়ালাক্সের চালান প্রথম আটক করে।
যশোর র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার এক্স বিএন লে. এম সারোয়ার হুসাইন গতকাল মঙ্গলবার দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ২১ আগস্ট যশোর শহরতলী চাঁচড়া থেকে প্রাইভেটকারসহ আটক ৪শ’ বোতল ফেনসিডিল যাচ্ছিল ঢাকার যাত্রাবাড়ি। রুবেল, মহসিন ও আলী হোসেন নামে তিন মাদক ব্যবসায়িকে আটক করা হয়। তাদের বাড়ি বেনাপোলে। তিনি বলেন, আমরা কঠোরভাবে ফেনসিডিল ঢোকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। কোনরূপ ছাড় নেই।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্তে চোরাচালান আসলে প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। তবে বর্তমানে ফেনসিডিল চোরাচালানীরা বেশ তৎপর। এক্ষেত্রে বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা যথেষ্ট ভুমিকা রাখছে। যার জন্য আটকও হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, উৎস বন্ধ না করে যতরকম ব্যবস্থা নেয়া হোক শূন্যের কোঠায় আনা কঠিন। বিজিবি’র সূত্র জানায়, প্রায়ই দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয় ফেনসিডিল পাচারসহ সীমান্তের অপরাধ নিয়ে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সূত্র জানিয়েছে, বহুদিন ধরেই মাদকাসক্তদের সিংহভাগই নেশার জন্য ফেনসিডিল সেবন করে আসছে। এর মাত্রা মাঝে মধ্যে কমে-বাড়ে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইয়াবা। সীমান্তে দায়িত্বরত একজন বিজিবি কর্মকর্তা জানান, প্রায় প্রতিদিনই ফেনসিডিল আটক হচ্ছে। তারপরেও আসছে ভারত থেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।