পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় এবার প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছে সরকার। ফলে চলতি বছরের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে না। এর পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতি বছর পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি দেওয়া হলেও এবার এই পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ায় সেই বৃত্তি দেবে না সরকার। গতকাল মঙ্গলবার তিনি সচিবালয়ে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিলের এই তথ্য জানান। পঞ্চমের সমাপনী পরীক্ষায় এবার মোট ২৯ লাখ শিক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ না করার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। অতএব আমরা পিইসি পরীক্ষাটা নিচ্ছি না, এ বছর স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষাগুলো নেব। কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা না নিয়ে নিজ নিজ বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা নিতে গত ১৯ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কেন্দ্রীয় পরীক্ষা হবে না বলে প্রাথমিকে বৃত্তিও দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জাকির হোসেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতি বছর পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি দেওয়া হলেও এবার এই পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ায় সেই বৃত্তি দেবে না সরকার। বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ওঠানো হবে। তাই উপবৃত্তি থাকবে। বৃত্তিটা থাকবে না।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, সমাপনী পরীক্ষার ভিত্তিতে যে বৃত্তি দেওয়া হয় সেটা এ বছর দেওয়া সম্ভব হবে না। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ৮২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়। এরমধ্যে ৩৩ হাজার জনকে ট্যালেন্টপুলে এবং ৪৯ হাজার ৫০০ জনকে সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হয়। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ২২৫ টাকা করে দেওয়া হয়। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তিন বছর বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির টাকা পায়।
বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হলে তাতে এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে কি না জানতে চাইলে গণশিক্ষা সচিব বলেন, এটা স্কুল কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে, আমরা তাদের দায়িত্ব দেব। শিক্ষকরা যেভাবে প্রশ্ন করবেন সেভাবেই হবে, স্ব স্ব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এই সিদ্ধান্ত দেবেন। তিনি বলেন, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিকে (নেপ) তিনটি বিকল্প পাঠ পরিকল্পনা করতে বলেছিলাম। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসের জন্য তিনটি পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছিল। যেহেতু সেপ্টেম্বরে এখনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিবেশ তৈরি হয়নি তাই সেপ্টেম্বরকে বিকল্প হিসেবে ধরছি না। অক্টোবর এবং নভেম্বরকে সামনে রেখে যে পাঠ পরিকল্পনা করেছি সেটাকে সামনে রেখে, সেটার ভিত্তিতে প্রত্যেকটা স্কুল ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত প্রশ্নপত্র করে পরীক্ষা নেবে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কীভাবে স্কুল খোলা যায়, সেই নীতিমালা ইতোমধ্যে চ‚ড়ান্ত করা হয়েছে জানিয়ে আকরাম-আল-হোসেন বলেন, গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে আমরা এটা জারি করব। স্কুল রি-ওপেনিং হলে কী কী করতে হবে সেটা ওই নীতিমালার মধ্যে বলা আছে। প্রত্যেকটা স্কুলকে বলেছি নিজেদের মত করে রি-ওপেনিং প্ল্যান করতে। কারণ একেক স্কুলের ছাত্র সংখ্যা একেক রকম। এসব বিবেচনায় নিয়ে তারা পরিকল্পনা করবেন।
কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে এ বিষয়ে প্রাথমিক সচিব বলেন, এই সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে নেবে। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেব, কবে স্কুল খুলতে পারব। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ারও চিন্তা করা হচ্ছে। তবে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।