Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আমদানি-রফতানি বন্ধের হুমকি

বেনাপোল বন্দরে চাঁদাবাজির অভিযোগ

মহসিন মিলন, বেনাপোল থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০২০, ১২:০১ এএম

বেনাপোল বন্দর এলাকায় সরকারের নির্দেশ উপেক্ষা করে রফতানি পণ্য বোঝাই ট্রাক থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠেছে। ঝিকরগাছা ট্রাক মোটর শ্রমিক ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের নামে এ চাঁদাবাজির অভিযোগ। চাঁদাবাজির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব না হওয়ায় ঝিকরগাছা, শার্শা ও বেনাপোল বন্দর ট্রাক মালিক সমিতি উচ্চ পর্যায়ে অভিযোগ দিয়েছেন। 

যশোর জেলার ঝিকরগাছ, শার্শা ও বেনাপোল বন্দর ট্রাক ও ট্যাংকলরি (দাহ্য পদার্থ বহনকারি ব্যতিত) ট্রাক্টর ও কভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্রে জানা যায়, দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল। সরকার এ বন্দর থেকে বছরে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে।
কিন্তু ভারতে পণ্য রফতানি করার সময় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে বেনাপোল চেকপোস্টে কথিত শ্রমিক নামধারী কিছু চাঁদাবাজরা ট্রাক প্রতি ১৬০/২০০ টাকা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে।
এমনকি ট্রাকের সিরিয়াল আগে পাইয়ে দিতে ট্রাক প্রতি ১৫০০/২০০০/- টাকা আদায় করছে, যা আইনগত অপরাধযোগ্য। চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে যে কোন সময় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন ট্রাক মালিক সমিতি।
সরেজমিনে জানা যায়, যশোর জেলার ঝিকরগাছা, শার্শা ও বেনাপোল বন্দর ট্রাক ট্যাংকলরি ট্রাক্টর ও কাভার্ডভ্যান মোটরশ্রমিক ইউনিয়ন কর্তৃক প্রত্যেক রফতানি পণ্যবাহী ট্রাক থেকে ১শ’ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। সে সাথে ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমসের নাম করেও চাঁদা নেয়া হচ্ছে ৫০ টাকা। আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন রফতানিমুখী ট্রাক ড্রাইভাররা। ইস্রাফিল হোসেন নামে এক ট্রাক ড্রাইভার জানান, সরকার ট্রাক থেকে চাঁদা নিতে নিষেধ করলেও বেনাপোলের কয়েকটি সিন্ডিকেট রফতানি পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়ে করছে। তারা কিছুতেই চাঁদা না নিয়ে ভারতে ট্রাক প্রবেশ করতে দেয় না। তিনি আরো বলেন, ঝিকরগাছা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের নামে কতিপয় ব্যক্তি রফতানি ট্রাক থেকে ১০০ টাকা ও ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমসের জন্য ৫০ টাকা চাঁদাসহ ১৫০ টাকা হারে আদায় করছে।
ট্রাক্টর ও কাভার্ডভ্যান মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের বেনাপোল শাখার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বিষয়টির সত্যতা প্রকাশ করে বলেন, প্রতিদিন ২০০ ট্রাক পণ্য ভারতে যাতায়াত করে থাকে। সেখানে বিশাল এ সংগঠনের বেকার সদস্যদের স্বার্থে ট্রাক প্রতি ১০০ করে চাঁদা নিচ্ছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রফতানিমুখী ট্রাক ড্রাইভারদের কাছে চাঁদার সত্যতা যাচাই করেছেন। কিন্তু কোনও ড্রাইভার মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব হচ্ছে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল বলেন, বিষয়টি যাচাই করে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ট্রাক ট্যাংকলরি ট্রাক্টর ও কাভার্ডভ্যান মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বেনাপোল বন্দর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ