Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২১ আগস্টের ঘটনায় খালেদা জিয়া হলে পিলখানা হত্যাকান্ডে প্রধানমন্ত্রী দায়ী --- রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার জন্য বেগম খালেদা জিয়া দায়ী হলে পিলখানা হত্যাকান্ডের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় খালেদা জিয়ারও। তাহলে আমিও বলি, ২০০৯ সালে পিলখানা বিডিআর সদর দফতরের হত্যাকান্ডের দায়ও বর্তায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। কারন তিনি সরকারের নেতৃত্বে ছিলেন। গতকাল রোববার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ২১ আগস্ট সংক্রান্ত মামলায় ৬ বার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদল করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগের ঘরের ছেলে কাহার আকন্দকে অবসর থেকে ডেকে নিয়ে এসে এই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। আওয়ামীলীগের আন্দোলনের ফসল মঈনুদ্দীন-ফখরুদ্দীনের সরকারের সময়ও তদন্ত শেষে অভিযোগপত্রে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ক্ষমতায় এসে ২১ আগস্ট মামলাকে রাজনীতিকীকরণ করেছে। এই ঘটনায় স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করা যায় আওয়ামী সরকার প্রকৃত কুশিলবদের আড়াল করতে চেয়েছে। প্রকৃত সত্যকে ঢাকতে চেয়েছে। কারণ যারা বোমা হামলা করেছে তারা আওয়ামী লীগেরই দোসর যা, বোমা হামলার ঘটনা ও পরবর্তীতে আওয়ামী প্রভাবিত মামলার কার্যক্রমে সেটাই প্রমাণিত হয়। এই কারণেই তারা ‘ক্যালকুলেটেড’ বোমা হামলা করেছে। তাদের সমর্থক দেশী-বিদেশী এজেন্টরাই এই ভয়াবহ হামলার সাথে জড়িত বলে জনগণ বিশ্বাস করে। উদ্দেশ্য, আওয়ামীলীগের প্রতি জনগণের সহানুভূতি সৃষ্টি করা এবং বিএনপি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণভিত্তি হারিয়ে ১০৫ ডিগ্রি জ্বরে ভোগা রোগির মতো এখন প্রলাপ বকছে। এবারে এদের আমলে শুরু থেকেই বাংলাদেশের সর্বত্র রক্তগঙ্গা বয়ে যাচ্ছে। সারাদুনিয়ার মানুষের কাছে বাংলাদেশের বর্তমান ছবিটা যেন শুধুই গুপ্তহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের। মানবিক বাংলাদেশের সেই চিরচেনা ছবিটা মুছে দিয়েছে বর্তমান সরকার। সারাদেশকে চুষে নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকার এখন বিএনপিসহ বিরোধী দলকে চিরস্থায়ীভাবে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অমানবিক মাষ্টারপ্লান বাস্তবায়নের পথে হাটছে।
রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ বিএনপি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচারের আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে, অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হওয়া দেশের কথা যেন কেউ জানতে না পারে। অর্থবছরের শুরুতেই গত ৪৩ দিনে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়েছে সরকার। এতেই প্রমাণিত হয় সরকারের রাজকোষ শুণ্য হয়ে গেছে। মেগা প্রজেক্টসহ তথাকথিত উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিদেশে পাচার করেছে। প্রতিদিন সংবাদপত্রের পাতায় টাকা পাচারকারী একেকজন আওয়ামী নেতার ছবি প্রকাশিত হচ্ছে। আওয়ামী নেতাদের টাকা পাচারের কাহিনী আরব্য উপন্যাসকে হার মানায়। জেলা পর্যায়ের ছাত্র নেতারা যদি হাজার-হাজার কোটি টাকা পাচারের সাথে যুক্ত থাকে তাহলে জাতীয় পর্যায়ে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠির লোকেরা কতো টাকার সমুদ্রে ভাসছেন সেটা এখন জানার বাকি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের অর্থকে কিভাবে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠি লোপাট করেছে তার নতুন নতুন লোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে আসছে। এই সমস্ত অজানা লুটপাটের কাহিনী বেরিয়ে আসতে শুরু করায় আওয়ামী সরকার এখন দিশেহারা। সেজন্যই আকষ্মিকভাবে জিয়া পরিবার ও বিএনপি’র বিরুদ্ধে বানোয়াট কাহিনী প্রচারের একযোগে নেমে পড়েছেন- প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।###



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ