Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রদীপ, শাহজাহান, খায়রুজ্জামান, মাসুমসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা না দেয়ায় হত্যার অভিযোগে আদালতে ফৌজদারী আবেদন

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২০, ৮:৫২ পিএম

টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, কক্সবাজার সদর মডেল থানার সাবেক ওসি সৈয়দ আবু মোঃ শাহজাহান কবির, সাবেক ওসি মোঃ খায়রুজ্জামান, সদর মডেল থানার বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত ওসি'র দায়িত্বে থাকা মাসুম খান সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে একটি ফৌজদারি দরখাস্ত দায়ের করা হয়েছে।

টেকনাফ হোয়াইক্ষ্যং এর মীর আহমদ সিকদার এর পুত্র মোহাম্মদ আলম বাবুলকে চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারী হত্যা করার অভিযোগে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (আদালত নম্বর-৪) এ এই ফৌজদারি দরখাস্তটি ২৩ আগস্ট রোববার দায়ের করা হয়।

আদালতের বিচারক, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ্ দাখিলকৃত ফৌজদারী দরখাস্তে উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ইতিপূর্বে আর কোন মামলা দায়ের হয়েছে কিনা-তা আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে ওসি'কে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।

৩১ আগস্ট প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে ফৌজদারী দরখাস্তটির গ্রহনযোগ্যতা শুনানির জন্য বিজ্ঞ আদালত আদেশ দিয়েছেন বলে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভা:) মোহাম্মদ আশেক ইলাহি শাহাজাহান নুরী জানিয়েছেন।

নিহত মোহাম্মদ আলম বাবুলের ভাই বদিউল আলম বাদী হয়ে ফৌজদারী দরখাস্তটি দায়ের করেছেন। মোহাম্মদ আলম বাবুল টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী যুবলীগ নেতা ছিলেন।

ফৌজদারী দরখাস্তে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৪টার দিকে মোহাম্মদ আলম বাবুল'কে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ সদর উপজেলার পশ্চিম লিংক রোড ইলিয়াস মিয়া হাইস্কুলের পাশে পুকুর পাড় হতে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে ছেড়ে দিতে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে সদর মডেল থানা কর্তৃপক্ষ। মোহাম্মদ আলম বাবুলের স্বজনেরা বাহকের মারফত সদর মডেল থানায় ১০ লক্ষ প্রেরণ করে।
এরপর দাবিকৃত অবশিষ্ট ১০ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় টেকনাফ মডেল থানা থেকে তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, হোয়াইক্ষ্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান সহ কয়েকজন কক্সবাজার মডেল থানায় আসে। কক্সবাজার সদর মডেল থানা কর্তৃপক্ষ, ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান সহ যোগসাজশ করে আটক করার ৬ দিন পর মোহাম্মদ আলম বাবুলকে আসামীরা গুলি করে হত্যা করে। পরে মোহাম্মদ আলম বাবুলের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ কক্সবাজার শহরের কবিতা চত্বর ঝাউবাগানে পাওয়া যায়।

মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে, তারা হলো- মেজর সিনহা হত্যার ২ নং আসামী টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, কক্সবাজার সদর মডেল থানার সাবেক ওসি সৈয়দ আবু মোঃ শাহজাহান কবির, সাবেক ওসি মোঃ খায়রুজ্জামান, সদর মডেল থানার বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত ওসি'র দায়িত্বে থাকা মাসুম খান, হোয়াইক্ষ্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান, হ্নীলার প্রভাষক জাফর আলম, কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই রুহুল আমিন, একই থানার এএসআই রাজিব চন্দ্র পোদ্দার, এএসআই আশরাফ উদ্দিন, কনস্টেবল মনজুর আলম, কনস্টেবল শাখাওয়াত হোসেন, কনস্টেবল মোহাম্মদ সিকান্দর, কনস্টেবল মোঃ ফারুক, দফাদার আমিনুল হক, আবদুর রহিম লালু ও হারুনর রশিদ সিকদার।

বাদী পক্ষে আদালতে মামলাটির গ্রহণযোগ্যতা শুনানি করেন এডভোকেট শহীদুজ্জামান, এডভোকেট আতাউল হক, এডভোকেট সাদেক উল্লাহ, এডভোকেট আবিদুর রহমান প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ