বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চলে একটানা ৯৬ ঘন্টার দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া পরিস্থিতির কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন হতে শুরু করেছে রবিবার দুপুর থেকে। ফুসে ওঠা সাগর রবিবার শেষরাত থেকে কিছুটা স্তিমিত হওয়ায় জোয়ারের উচ্চতা কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো দক্ষিণাঞ্চলের ৯০টি নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী আর মূল ভূখন্ড একাকার হয়ে যাওয়ায় নৌযোগাযোগ অসম্ভব ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলাই এখনো সাগরের জোয়ার আর উজানের ঢলের সাথে ভাদ্রের বড় অমাবশ্যার বর্ষনের প্লাবনে বিপর্যস্ত। রবিবার বিকেল পর্যন্ত নদ-নদীর পানি প্রায় ১০ সিন্টিমিটার কমলেও এখনো সমগ্র উপকূলভাগ জলোচ্ছাস ও প্লাবনের কবলে। ভোলা সদর উপজেলা ছাড়াও বোরহানউদ্দিন,তজুমদ্দিন,চরফ্যাশন ও মনপুরায় বণ্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে ধশের কারেন মূল ভ’খন্ডে পানি প্রবেস করে গ্রামের পর গ্রাম ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। বরগুনা ও পটুয়াখালীরও বেশ কিছু এলাকার বাঁধে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ফরে ফসরের জমি আর বসত বাড়ী সব একাকার হয়ে গেছে জোয়ারের পনিতে।
এ অঞ্চলের দেড় লাখ হেক্টর জমির উঠতি আউশ ধান ছাড়াও আরো প্রায় দেড় লাখ হেক্টরের রোপা আমন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ফসল এখনো পানির তলায়। এছাড়াও আরো প্রায় সোয়া ৪ লাখ পুকুর, দীঘি ও বরোপিট প্লাবিত হয়ে কোটি কোটি মাছ ও এর পোনা ভেসে গেছে। বরিশাল সহ দক্ষিণঅঞ্চলের সবগুলো নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চল যুড়ে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি সহ কোন কোন স্থানে মাঝারী থেকে ভারী এবং অতি ভারী বৃষ্টির আশংকার কথাও বলেছে আবহাওয়া বিভাগ। সোমবারের পরবর্তি ৪৮ ঘন্টায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে আরেকটি লঘু চাপ সষ্টির আশংকার কথা বলা হয়েছে আবহাওয়া বিভাগ থেকে ।
এদিকে রবিবার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় বরিশাল ও পটুয়াখালীতে ৩৪ মিলিমিটার করে এবং ভোলাতে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে আবহাওয়া পরিস্থিতির কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। সকাল ১১টার পরে বৃষ্টিপাত বন্ধ হলেও আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন্ । দুপুর দুটার দিকে বরিশালের আকাশে প্রথম সূর্যোর দেখা মেলে। বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের বেশীরভাগ এলাকায়ই গত কয়েক দিনের দূর্যোগ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি লক্ষ করা গেলেও এখনো দক্ষিণাঞ্চল সহ উপক’লের মূল ভ’খন্ডের অন্তত ৫০ ভাগ এলাকা এবং কয়েকশ বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ও চরাঞ্চল ৩Ñ৫ ফুট পানির তলায়।
বরিশাল,পটুয়াখালী ও বরগুনা শহরের বেশীর ভাগ এলাকাই প্লাবিত। পটুয়াখালী ও বরগুনাতে জোয়ারের সময় পানি প্রবেস করছে। আর বরিশাল মহানগরীতে তিনদিন আগের বর্ষার পানির সাথে নদীর জোয়ারের যে পানি প্রবেস করেছে, তা নড়াচড়ার কোন লক্ষন নেই। এনগরীর পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা সাম্প্রতিককালে এতটাই বিপর্যস্ত যে, সামন্য বৃষ্টিতেই নগরীর বেশকিছু এলাকা সহ রাস্তাঘাট প্লাবিত হচ্ছে। গত তিনদিনের দূর্যোগে এ নগরীর ৭০ ভাগ প্লাবিত হয়েছে। ওয়াকিবাহল মহলের মতে, বড় কোন বিপর্যয় না ঘটলে আগামী তিন দিনে দক্ষিণাঞ্চলের বেশীরভাগ এলাকা প্লাবনমূক্ত হলেও বরিশাল মহানগরী থেকে পানি সরতে এক সপ্তাহ অপক্ষো করতে হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।