বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারনে দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর একমাত্র নীলগিরি ও স্বর্ণ জাদি মন্দিও স্পট ছাড়া বান্দরবানের সকল পর্যটন কেন্দ্র শুক্রবার (২১আগষ্ট) থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে হঠাৎ করে খুলে দেয়ায় শুক্রবার পর্যটন স্পটগুলোতে দর্শনার্থীদেও ভীড় খুবই কম ছিল।
বৃহস্পতিবার (২০আগষ্ট) বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত করোনা ভাইরাস মনিটরিং কমিটির এক জরুরি বৈঠকের পর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক মোঃ দাউদুল ইসলাম।
এদিকে পর্যটন স্পটগুলো খলে দেয়ার পর বান্দরবানে পর্যটকেরা আসছে শুরু করেছে। হোটেল-মোটেল, কটেজগুলোতে বুকিং দিচ্ছে পর্যটকেরা। শুক্রবার খুলে দেয়ার প্রথমদিন হওয়ায় পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের উপস্থিতির সংখ্যা খুবই কম। তবে নীলগিরি ও স্বর্ণজাদি পর্যটন স্পট পর্যটকদেও জন্য এখনো খুলে দেয়া হয়নি। সেনাবাহিনী পরিচালিত নীলগিরি পর্যটন স্পট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, উপরের নির্দেশেনা না থাকায় তারা নীলগিরি পর্যটন স্পটটি বন্ধ রেখেছে। এছাড়া স্বর্ণ জাদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মারমা সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান তিনমাস বর্ষাবাস চলছে। স্বর্ণজাদিসহ জেলার সকল জাদিতে ধর্মীয় প্রার্থনার কার্যক্রম চলছে। তাই স্বর্ণজাদি পর্যটন স্পটটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
এব্যাপারে বান্দরবান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হোসন জানিয়েছেন, জেলায় এখনো করোনা আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের বান্দরবানের পর্যটন স্পটে প্রবেশ করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধির মেনে চলার বিষয়ে কড়া নজরদারি থাকবে এবং মাস্ক ছাড়া কাউকে পর্যটন স্পটগুলোতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এদিকে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে বান্দরবানের পর্যটন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা স্বাগত জানিয়েছেন। জেলার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বান্দরবানে সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্প মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক হোটেল মোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। তবে সংক্রমণ কমে আসায় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত তারা আগের মতো ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে ব্যবসায়ীরা।
অপরদিকে শুক্রবার সকালে প্রশাসনের নির্দেশিত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলছে কিনা দেখতে বান্দরবানে বিভিন্ন হোটেল-মোটেল ও পরিবহনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
এসময় জেলা নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান রুবেল বলেন, পর্যটন শিল্প নির্ভর প্রতিটি সেক্টরের জন্য আলাদা আলাদা শর্ত আরোপ করে জনগনের বোগান্তির কথা চিন্তা করে প্রশাসন দর্শণীয় সব পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। এসব শর্ত গুলো সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই মেনে চলতে হবে সেই সাথে পর্যটকদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান অন্যথায় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ট্যুরিষ্ট পলিশ মোঃ আমিনুল জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পুলিশী নিরাপত্তার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রে। তবে জেলায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের প্রশাসনের বেঁধে দেয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চলতি সনের গত ২২ মার্চ থেকে লকডাউন করে বান্দরবানের সকল পর্যটন কেন্দ্র এবং হোটেল-মোটেল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। পার্বত্য জেলা বান্দরবানে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ৬৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে চারজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।