পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক না হলে কেউ কোনো ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সভাপতি হতে পারবেন না। এ রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত ২১ জানুয়ারি দেয়া এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে বুধবার। বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি মো.খায়রুল আলমের তৎকালিন ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দিয়েছিলেন।
রিটের পক্ষের আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির বলেন, ১৫ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি আমরা হাতে পেয়েছি। এর আগে গত ২১ জানুয়ারি গ্রাজুয়েট ব্যক্তি ছাড়া দেশের কোনো ফাজিল (স্নাতক) ও কামিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি হতে পারবে না বলে রায় দেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল ‘চূড়ান্ত’ করে রায় ঘোষিত হয়। রায়ে বলা হয়, প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রথমত: ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে স্নাতক ডিগ্রিধারী তিনজন ব্যক্তির নাম পাঠাবেন। তিনজনের মধ্যে থেকে ভিসি একজনকে সভাপতি পদে মনোনীত করবেন। কিন্তু ডিও লেটারে কেউ সভাপতি হলে সেটি বাতিল হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন আদালত।
সেই সঙ্গে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার কালিশ পুনাইল হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি পদে এমপির ডিও লেটারধারী মো. বেলাল হোসাইন বাবলুকে মনোয়ন দেয়ায় তার সভাপতি পদ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ন কবির বলেন, ২০১৮ সালের ৮ মার্চ বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কালিশ পুনাইল হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি পদে এমপির ডিও লেটারধারী মো. বেলাল হোসাইন বাবলুকে মনোনয়ন দেয় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু তার নাম প্রতিষ্ঠান প্রধান সুপারিশ করে ভিসির কাছে পাঠিয়েছিলেন। পরে বেলাল হোসাইন বাবুলকে সভাপতি পদে মনোনয়ন দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন একই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক সদস্য আরিফুল ইসলাম। ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করেন। শুনানি শেষে আদালত স্নাতকোত্তীর্ণ ব্যক্তি ছাড়া (ডিগ্রি পাসের নিচে নয়) দেশের কোনো ফাজিল-কামিল (স্নাতক) মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি হতে পারবে না বলে রায় দেন। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এটি একটি যুগান্তকারী রায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।