পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের অভ্যন্তরে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত বেড়েছে। সেই সাথে উজানে অতিবর্ষণের ফলে পদ্মা-যমুনাসহ দেশের কয়েকটি নদ-নদীর পানি বাড়ছে। সাগর উত্তাল এবং অমাবস্যার অস্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে গেছে উপক‚লীয় অঞ্চল। এতে দীর্ঘ প্রায় দুই মাসের বন্যার্তদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ছে নদীভাঙন। পদ্মার তীব্র ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে বহু মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুলসহ আরও অনেক স্থাপনা। অনেকে বসতভিটা জমিজমা সব হারিয়ে হয়েছে সর্বহারা।
বরিশাল থেকে নাছিম উল আলম জানান, ভাদ্রের বড় অমাবস্যায় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসা গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার বয়ে আনা বৃষ্টিপাতের সাথে ফুসে ওঠা সাগরের জোয়ার আর উজানের ঢলে বরিশালসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল সয়লাব হয়ে গেছে। বুধবার থেকে এ দূর্যোগ শুরু হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো নদ-নদী দু’কূল ছাপিয়ে বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। উপক‚লভাগে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণের সাথে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৫ ফুট উচ্চতার জোয়ারে জনপদের পর জনপদ প্লাবিত হয়ে গেছে। স্বাভাবিক জনজীবন অনেকটাই বিপর্যস্ত। বরিশাল মহানগরীর প্রায় ৫০ ভাগ এলাকা ইতোমধ্যে জোয়ার আর বৃষ্টির পানিতে সয়লাব। সাগর মসাঝারী মাত্রায় উত্তাল রয়েছে। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভারি গর্জনের সাথে ৫-৭ ফুট উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ছে। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে সবগুলো নদী বন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেতের আওতায় রাখা হয়েছে।
ভোলা থেকে মো: জহিরুল হক জানান, অমাবস্যার জোয়ারের কারণে আবারও ভোলার মেঘনা নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে। গতকাল সকাল থেকে দিনভর থেমে থেমে হালকা ও ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিকালে মেঘনার পানি বিপদ সীমার ৪.৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। যা ছিল গত ৫ আগস্ট যে পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল তার চেয়েও বেশির সর্বোচ্চ রেকর্ড। যার ফলে সদর উপজেলার ধনিয়া, ইলিশা, রাজাপুর, কাচিয়া, ভেদুরিয়া, শিবপুর মাছঘাটসহ দৌলতখানের মদপুর, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, তজুমদ্দিন, মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাঁধের উপর দিয়ে ও আবার বাঁধের বাইরে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে আবদুল হালিম দুলাল জানান, অবিরাম বৃষ্টি ও অমবস্যার অস্বাভাবিক জোয়ারে উপজেলার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত তিন-চার দিনের অবিরাম বৃষ্টি এবং গতকালের জোয়ারে স্বাভাবিকের চেয়ে ২/৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী অনেক গ্রাম, হাট বাজার, আমনের বীজতলা, রোপা আমনের ক্ষেত ও বাড়ির আঙ্গিনার শাক-সবজির ক্ষেতসহ গ্রামের মেঠো পথ ডুবে গেছে। বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় সাধারণের চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
চাঁদপুর থেকে বি এম হান্নান জানান, হাইমচর উপজেলার নি¤œাঞ্চল আবারো জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। নি¤œাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং বাড়ি-ঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করে মানুষ বন্দি অবস্থায় আছে। গত বুধবার বিকেলে মেঘনা নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সংযুক্ত খাল ও নালা দিয়ে বাঁধের বাইরের অংশ মুহূূর্তের মধ্যে পানি প্রবেশ করে এবং ঘর বাড়িগুলো তলিয়ে যায়। এতে অস্থায়ী বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
রামগতি (ল²ীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, রামগতি ও কমলনগর উপজেলা মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনের শিকার। প্রায় চার দশক ধরে মেঘনা নদী ভাঙছে। ভাঙন সারা বছর অব্যাহত। এভাবে বছরের পর বছর নদী ভাঙতে থাকায় মাইলের পর মাইল বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া জোয়ারে ডুবে যায় এ দুই উপজেলার রাস্তাঘাট, ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।