Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আত্মার ঊর্ধ্বগতি আর অধঃগতি

নাজীর আহ্মদ জীবন | প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০২০, ১২:১০ এএম

পূর্ব প্রকাশিতের পর
অন্য একদিন বললাম, মুর্শিদ আত্মার শাস্তি কি ভাবে হয় এটা তো মোহাম্মদ (সাঃ) এর নূরে সৃষ্টি। বলেছিলেন, “আত্মা যেহেতু পাপের ফলে বিকৃত হয়ে যায়, তাই তখন আর মানবআত্মা থাকে না। আত্মার অধঃগতি হয়। এর কোন আকার বা গন্ধ নেই।

“তোমাদের প্রভুর নিকট অবিলম্বে ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং জান্নাতের নিকটবর্তী হও, যার আয়তন আকাশ ও পৃথিবী ব্যাপী।” এ আয়াত সম্বন্ধে রাসূলকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, যদি বেহেশ্ত আকাশ সমূহ ও পৃথিবী ব্যাপী অবস্থান করে, তবে নরক বা দোযখ কোথায়? উত্তর দিয়েছিলেন, “যখন দিন হয়, তখন রাত্রি কোথায়?” এ থেকে বুঝা যায় দিনের পর যখন একই পৃথিবীতে রাত্রি আসে, তখন একই মানবের উপর একই পৃথিবীতে ও আকাশে বেহেশ্ত ও দোযখ্ আগমণ করে। প্রকৃত পক্ষে, বেহেশ্ত ও দোযখ্ মানবাত্মার বিভিন্ন রূপ বা অবস্থা মাত্র যেরুপে রাত্রি ও দিন পৃথিবীর বিভিন্ন অবস্থা। তৎকালিন সময়ের মানুষ বুঝতে পারবে না বলে, রাসূল (সাঃ) উপ্মা দিয়ে বুঝায়েছেন। সময় বড় কঠিন বিষয়। এর উপর বহু কিছু নির্ভর করে। সময় সভ্যতা জ্ঞান জীবন ও মৃত্যু।

জ্ঞানী সূফী সাধক যিনি বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক চিন্তাধারার সাথে আধ্যাত্মিক চিন্তাধারার সমন্বয়কারী ও অনুরাগী বলেন ঃ “আত্মার জগৎ অর্থাৎ আলোর জগৎ সম্পর্কে আমাদের একটু খোঁজ করা দরকার। আমার কথা বলছি; অনুভুতিবোধ করছি এসব কোন শক্তিতে। আলোর গতি সেকেন্ডে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল। এর চেয়ে গতিশীল বস্তু আমাদের মাঝে রয়েছে। সূর্য ৯ কোটি ৩০ লক্ষ মাইল দূরে। আমরা চোখের পল্কে এর দিকে তাকাচ্ছি বা দেখছি। এটা কার শক্তিতে। রাসূল বলেছেন; “আমরা যেন অবসর সময়ে নামাজবাদ অন্তরের জিকির করি। যে নিজেকে চিনেছে সে তার প্রভুর পরিচয় পেয়েছে”। আমাদের এ মাটির দেহে আলোর (নূর) সংযোগ না হলে নূরের জগতে ফিরে যাওয়া কষ্ট কর। এ মাটির দেহের কোন দাম নেই। কয়েক দিনের জন্য এ দেহকে বাহন হিসাবে রাখা হয়েছে। এর ভিতর যে মূল্যবান ‘আত্মা’ বসে আছে সেটা হলো অবিনশ্বর। সেই আত্মাকে তার স্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যাবার দায়িত্ব আমাদের। তাই, মস্নবী শরীফে বলা হয়েছে - “বন্ধুর দেখা পেলে মুক্তির উপায় যেন আমরা যেনে নেই। এখানে বন্ধু আল্লাহর ওলী বা কামেল সাধক। তাই প্রতিটি লোকের উচিৎ নিজেকে জানা।”

“হায় পাখি!” “হায় পাখি! আজও যে হলো না আপন রয়ে মোর সাথে সারাটা জীবন; চলে যেতে চায় সে তার আপন ভূবন ছাড়ী আমারে নিরব-নিথর করি। জানো কি সবে ওগো এ পাখির ধর্ম - শুনো তবে পাখির নিজস্ব ধর্ম, ধর্ম না হলে হয় না কোন কর্ম যে কর্ম তুমি করবে এ ভবে, সে রঙে সে যে রঞ্জিত হবে। যে রুপ নিয়ে সে এসেছিল ভূবন রঙ্গিত না হয় যদি পাখি সেরুপ গড়ন দুঃখ কষ্টের হবে শেষ তোমার মানব জনম যে শুধু একবার। মানব জনম যদি বৃথা হয় তোমার এর চেয়ে দুঃখ লজ্জার নাই কিছু আর;
লেখক : ধর্মতত্ত্ববিদ



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঊর্ধ্বগতি-অধঃগতি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ