পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষে স্পিকারের আসনের পেছনে, দেয়ালের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি তারিক-উল-হাকিম এবং এসএম কুদ্দুস জামানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। আদেশের বিষয়ে অমিত দাশগুপ্ত জানান, বঙ্গবন্ধুর ছবি সংসদের অধিবেশন কক্ষের স্পিকারের চেয়ারের পেছনের দেয়ালে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদেশ পালন করে আগামী এক মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আদালতের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, এটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয়। সংসদ সচিবালয়ের সচিব এই আদেশ বাস্তবায়ন করবেন।
এর আগে গত ১২ আগস্ট সুবীর নন্দী দাস এ রিট করেন। গত ৩০ জুলাই জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে একটি আবেদন দেন সুবীর নন্দী দাস। রিটে ওই আবেদনের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, সংবিধানের ৪ক বিধান মতে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং সব সরকারি আধা-সরকারি অফিস, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রধান ও শাখা কার্যালয়, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনসমূহে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
জাতীয় সংসদের অধিবেশন হলে স্পিকার এবং সংসদ সদস্যদের আইন প্রণয়ন অফিস, রাষ্ট্র ও সরকারের অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান। জাতীয় সংসদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি প্রদর্শন ও সংরক্ষণ সাংবিধানিক দায়িত্ব। রিটে আরও বলা হয়, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের নিজ নিজ জাতির পিতা কিংবা জাতীয় বীরদের প্রতিকৃতি অথবা ভাস্কর্য আইন সভায় রয়েছে। রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।