বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এবারের বন্যায় শেরপুর জেলায় কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা পড়েছে বেকায়দায়। অনেক কৃষক ব্যাংক ঋণ ও দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বিভিন্ন কৃষি আবাদ করলেও তাদের ফসল বন্যার পানিতে ক্ষতি হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে তারা। জেলা কৃষি বিভাগের হিসেব মতে জেলায় এ পর্যন্ত ২৫ কোটি ৩৩ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাযায়, অতিবৃষ্টি, পাহাড়ী ঢল ও ব্রক্ষপুত্র নদের পানি বৃদ্ধির ফলে শেরপুর জেলার ৫২টি ইউনিয়নের মধ্যে অন্তত ২৪টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়। এতে বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে দেড়শতাধিক গ্রাম। বন্যার পানিতে ডুবে যায় এসব এলাকার আমন বীজতলা, শাক সবজীর আবাদ, রোপা আমন, আউশ ধান ও পাটের আবাদ। সরকারী হিসেবেই বন্যার পানিতে জেলার ১ হাজার ১০ হেক্টর আমন বীজতলা, ১শ ১৪ হেক্টর রোপা আমন, ২শ ৯০ হেক্টর আউশ, ৫শ ৪০ হেক্টর শাক সবজী ও ৮৩ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ৩৪ হাজার ৭শ ২২জন কৃষক পরিবার। এসব চাষীর অন্তত ২৫ কোটি ৩৩ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অনেক কৃষক আছে তারা ব্যাংক ঋণ ও দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে এসব শস্যের আবাদ করেছিল। কিন্ত তাদের ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় তারা এখন দিশেহারা। আবার আমন বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় চড়া মূল্যে আমন ধানের জ্বালা সংগ্রহ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কৃষকরা। এদিকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরেঘুরে কৃষকদের কাছে জানাযায়, তারা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও এখন পর্যন্ত কোন আর্থিক সহায়তা পায়নি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মোবারক হোসেন জানান, এবার বন্যায় ২৫ কোটি ৩৩ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের তালিকা করে আমরা উর্ধ্বতন অফিসে পাঠিয়েছি। আশা করি তাদের জন্য কিছু একটা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।