Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কর্মক্ষেত্রে শিশু নির্যাতনের হার বেড়েছে ১৩৭ শতাংশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনা মহামারির কারণে দেশে সাধারণ ছুটি শেষ হয়ে মানুষ কাজে ফিরতে শুরু করায় কর্মক্ষেত্রে শিশু নির্যাতনের হার বেড়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) তড়িৎ টেলিফোন জরিপে দেখা যায়, জুনের তুলনায় জুলাই মাসে কর্মক্ষেত্রে শিশু নির্যাতনের হার ১৩৭ শতাংশ বেড়েছে।
জরিপ মতে, জুলাইয়ে ৬৯২ শিশু কর্মক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। জুনে এই সংখ্যা ছিল ২৯২। অন্যদিকে কমে এসেছে পারিবারিক নির্যাতনের হার। এছাড়াও, শিশু অপহরণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে বলে জরিপে বলা হয়, ৬৯ শিশুকে অপহরণ করা হয়েছে। মোট ২,৯৭৯ শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে মেয়েশিশু ১৯৭৯ জন অর্থাৎ ৬৬ শতাংশ এবং ছেলেশিশু ১,০০০ জন বা ৩৪ শতাংশ।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নারী ও শিশুরা কেমন আছে তা জানার জন্য সংস্থাটি জুলাই মাসে ৫৩ জেলার ১১১টি সহযোগী সংগঠনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। কথা বলা হয়েছে মোট ৬৩ হাজার ৯৬৮ জন নারী ও শিশুর সঙ্গে। এর মধ্যে নারী ৪৪ হাজার ৮৭৫ জন ও শিশু ১৯ হাজার ৯৩ জন।
জুলাইতে নারী ও শিশু মিলিয়ে মোট নির্যাতিতের সংখ্যা ১১ হাজার ৪৭১ জন। জুন মাসে তা ছিল ১২ হাজার ৭৪০ জন। জুলাইয়ে নারী নির্যাতিতের সংখ্যা ৮৪৯২ জন। এর আগের মাসে তা ছিল ৯৮৪৪ জন। শিশু নির্যাতনের সংখ্যা জুলাইতে বেড়ে হয়েছে ২৯৭৯ জন। জুনে এটি ছিল ২৮৯৬।
নতুন আক্রান্ত নারী ও শিশুর সংখ্যা মোট ৩৮৯৯ জন। এর মধ্যে নারী তিন হাজার ২৯৩ জন বা ৩৯ শতাংশ এবং শিশু ৬০৬ জন বা ২০ শতাংশ।
জরিপে আরও বলা হয়, ৮৩৮৯ জন নারী পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ৫৬ জন, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়েছে ১৯ জন নারীকে, হত্যা করা হয়েছে ১১ জনকে এবং খাবার ও সাহায্য আনতে গিয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১৭ জন।
জুলাইয়ে নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম গণমাধ্যমকে বলেন, কর্মক্ষেত্রে শিশুর প্রতি নির্যাতনের হার বেড়ে যাওয়ার এই হার খুব ভয়াবহ।
উল্লেখ্য এমজেএফ এর আগে গত এপ্রিল, মে, জুন মাসেও তাদের সহযোগী সংগঠনের সহায়তায় পারিবারিক ও অন্যান্য ধরণের সহিংসতা নিয়ে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছে। ##

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ