বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আওয়ামী যুবলীগ সৈয়দপুর উপজেলা শাখা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সংগঠনটির আহ্বায়ক মো. দিলনেওয়াজ খান।
‘নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বিহারীরা বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের অধিকাংশ বিহারীর ছেলে-মেয়েরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সারা দিয়ে আওয়ামী লীগসহ দলীয় অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থেকে দেশ ও জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগেরই একটি সুবিধাবাদী অংশ এসব বিহারীদের দল থেকে বিতাড়িত করতে নানা অপকৌশল করছে। আর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘রাজাকার’ শব্দটি। অথচ এ শব্দের কোনো ভিত্তি ও প্রমাণ নেই।’
আজ রোববার দুপুরে স্থানীয় রেলওয়ে মর্তুজা ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সৈয়দপুর উপজেলা শাখা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির আহ্বায়ক উর্দুভাষীর সন্তান মো. দিলনেওয়াজ খান।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিনুল হক মহসিন যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বে থেকে ১৯৯৮ সালে পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মোজাম্মেল হককে পরাজিত করতে বিএনপির প্রার্থী আমজাদ হোসেন সরকারের পক্ষে কাজ করেছিলেন। সে সময় উর্দুভাষী তথা বিহারীদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে তিনি বিহারীদের ভোট বিএনপির প্রার্থীকে দিতে বাধ্য করান। ফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরাজিত হয়। পরবর্তীতে বিহারীর ছেলে-মেয়েরা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনে যোগ দিলে এসব সুবিধাভোগীরা নানা অপকৌশল চালানোর পরও আওয়ামী লীগের প্রার্থী আখতার হোসেন বাদল নির্বাচিত হন। এদিকে আবারও একই কায়দায় মাঠে নেমেছেন এই নেতা। কারণ সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচন আসন্ন। ফলে বিএনপির সঙ্গে আঁতাত করে এরই মধ্যে তিনি বিহারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করেছেন।’
দিলনেওয়াজ খান বলেন, ‘আমি বিহারী হওয়ায় আমার বাবা মৃত নাইম খানকে “রাজাকার” বলে আখ্যায়িত করে প্রচার চালানো হচ্ছে। তার উদ্দেশ্য এতে করে বিহারীরা যেন আওয়ামী লীগ থেকে বিতাড়িত হন এবং তার মিশন সফল হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন-সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক জোবায়দুর রহমান শাহীন এবং সৈয়দপুর রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন প্রমুখ। এ সময় যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ দলের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।