পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্ষমতাসীনরা মিথ্যাচার করে জিয়াউর রহমানকে খাটো করার অপচেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই দেশের স্বাধীনতা যিনি ঘোষণা দিলেন, যুদ্ধ করলেন, একই সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসার পরে ক্রীড়াঙ্গনে উদ্দীপ্ত করলেন, দেশকে জাগিয়ে তুললেন তার সম্পর্কে যেগুলো একেবারেই সত্য নয়, মিথ্যা কথা বলে তাকে খাটো করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আসলে আওয়ামী লীগের কেমেস্ট্রিটা হচ্ছে দলীয়করণের কেমেস্ট্রি। ওখানে নিরপেক্ষতা অথবা দলের বাইরে যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করা-এটা তাদের মধ্যে নেই। আজকে গোটা রাষ্ট্রকে দলীয়করণ করে ফেলেছে তারা। এটা তাদের আদর্শগত, নীতিগত বলব। কারণ ১৯৭৫ সালে তারা একদলীয় শাসন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলো। আমরা তো সেগুলো ভুলে যাইনি। আজকে যদিও সব কিছু ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতো সহজে সত্যকে তো ঢেকে দেয়া যায় না।
রোববার (১৬ আগস্ট) এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সরকারের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি এসব কথা বলেন। আরাফাত রহমান কোকোর ৫১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে এই ভার্চুয়াল আলোচনা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা খুব খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই সময়ে খেলাধুলা, গান-বাজনা আর রাজনীতি কোনটাই দলীয়করণের বাইরে নয়। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম গণতান্ত্রিক চেতনা, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, সমাজ নির্মাণ করার চেতনায়, সেই চেতনাকে আমরা হারিয়ে ফেলেছি।
তিনি বলেন, যারা আজকে শাসন করছেন, জোর করে শাসন করছেন তারা সেই চেতনাকে বিনষ্ট করে দিয়ে একদলীয় ফ্যাসিবাদী সরকার তারা প্রতিষ্ঠা করেছে। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন কিন্তু তাদের (আওয়ামী লীগ) সমর্থক ছিলেন না। তারা মারা যাওয়ার পরে তাদের লাশ শহীদ মিনারে পর্যন্ত নিতে দেয়া হয়নি।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম জোরদার করতে হবে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সামনে রেখে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটা উদারপন্থি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করতে হবে। আমরা দল-মত নির্বিশেষে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, বহু চিন্তার যে রাষ্ট্র, বহুমতের যে রাষ্ট্র, সেই রাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এখানে কে বিএনপি করে, কে আওয়ামী লীগ করে, কে সিপিবি করে, কে অন্যান্য দল করে ওটা বেশি ব্যাপার নয়, ব্যাপারটা হচ্ছে এই রাষ্ট্রকে সকলের কথায়, সকলের মতের চিন্তার স্বাধীনতা এবং জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে করব। তাহলেই সবকিছুরই উন্নয়ন হবে।
ক্রিকেটসহ বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে উন্নয়নে আরাফাত রহমান কোকোর অবদানের কথা স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কোকো রাজনীতির বাইরে থেকে পুরোপুরিভাবে খেলাকে খেলা হিসেবে দেখে তার সংগঠনের কাজে ব্যয় করেছেন ও অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে করেছেন। আজকে আমরা ক্রিকেটে যে ভিত্তি দেখতে পাই-এটা তৈরি করেছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। আরাফাত রহমান কোকো ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলার প্রস্তাব করেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হকের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিকনায়ক শফিকুল হক হীরা, ক্রিকের্ট বোর্ডের সাবেক সহ-সভাপতি শাহ নুরুল কবির শাহিন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু, জেলা বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের মহাসচিব কাজী মহিউদ্দিন বুলবুল, ক্রীড়া সংগঠক তাবিথ আউয়াল ও প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।