পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিনম্র চিত্তে শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় স্মরণ করা হয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীণতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে গতকাল এক কাতারে এসে মিলিত হয়েছে রাষ্ট্রের শীর্ষ কর্তাব্যক্তি থেকে খেটে খাওয়া দিনমজুর। স্মরণ করা হয়েছে ইতিহাসের বিস্ময়কর নেতৃত্বের কালজয়ী স্রষ্টা বঙ্গন্ধু শেখ মুজিবকে। দিনটি কোরআন তেলাওয়াত, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, কালো ব্যাজ ধারণ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, মিলাদ মাহফিল, রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।
ভোরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দলের ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন ইউনিট কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনে শোক দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা সরাসরি সম্প্রচারসহ বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়। ভোরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
প্রতিকৃতির বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণের পর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বাংলাদেশ সশম্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল এ সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়, বিউগেলে করুন সুর বেজে ওঠে। পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট শহিদদের স্মরণে অনুষ্ঠিত বিশেষ মোনাজাতে এ সময় অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী ।
জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী তার মেয়ে, বিশ্ব অটিজম আন্দোলনের অগ্রপথিক সায়মা ওয়াজেদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের জাতির পিতা এবং তার পরিবারের স্মৃতি বিজড়িত ভবনটিতে যান (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর) এবং সেখানে কিছু সময় অবস্থান করেন।
প্রধানমন্ত্রী পরে বনানী কবরস্থানে যান। যেখানে তার মা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেলসহ সেদিনের ঘটনায় নিহত পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সমাহিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদনের পর কবরগুলোতে ফুলের পাঁপড়ি ছড়িয়ে দেন। তিনি সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন এবং বিশেষ দোয়ায় শরিক হন।
এরপর সকাল ৮টায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এরপর একের পর এক শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, কৃষক লীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এবং ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে আরও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, শেরে-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় প্রেসক্লাব, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবার, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, আইনজীবী সমিতি, জয়বাংলা, সাংস্কৃতিক ফেডারেশন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ, বাংলাদেশ বেতার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, শেখ রাসেল শিশু সংসদ, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, শিশু একাডেমি, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক-প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। একইসঙ্গে হাজার হাজার সাধারণ মানুষেও ফুল দিয়ে মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ অনেককেই শোকের প্রতীক কালো পোশাক পরতে, হাতে কালো পতাকা এবং বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করতে দেখা যায়। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও বিভিন্ন সংগঠন এবং সাধারণ মানুষকে মহান নেতাকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এ সময় ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, পলাতক খুনিদের ফাঁসি চাই, সহ বঙ্গবন্ধুর নামে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক খুনিদের দ্রুত ফিরিয়ে এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক এমনটাই চাওয়া জাতীয় শোকদিবসে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষদের।
এদিকে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে তার জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুষ্প স্তবক অর্পন করা হয়। সকাল ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী জাতির পিতার সমাধি সৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় ও বিউগলে বেজে ওঠে করুন সুর। পরে পবিত্র সুরা, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া-মোনাজাত করা হয়।
শোকাবহ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্ণেল (অবঃ) মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাহজাহান খান, অ্যাড আব্দুল মতিন খসরু, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি.এম মোজাম্মেল হক, মীর্জা আজম, এস.এম কামাল হোসেন, অ্যাড.আফজাল হোসেন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, অ্যাড. রেজাউল কবির কওসার, আনিসুর রহমান প্রমূখ।
জাতীয় মসজিদে ১০০ বার কোরআন খতম
জাতীয় মসজিদে ১০০ বার কোরআন খতম, আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। বায়তুল মুকাররমে ১০০ জন কোরআনে হাফেজের মাধ্যমে ১০০ বার পবিত্র কোরআন খতম করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা, মিলাদ ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম বিষয়ক সচিব মো. নূরুল ইসলাম। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার ও এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নূরুল ইসলাম, পরিচালক মোহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদার ও সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য দোয়া করা হয়। ধর্মসচিব মো. নূরুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদসহ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ফাউন্ডেশনের পরিচালকবৃন্দ এবং সর্বন্তরের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ বিশেষ দোয়া ও মুনাজাতে অংশ নেন। এছাড়া বৃক্ষরোপন ও দিনব্যাপি ফ্রি চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালানো হয়েছে।
ধর্ম বিষয়ক সচিব মো. নূরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর সকল কর্মকান্ডে ধর্মীয় চিন্তাচেতনায় কোন ঘাটতি না থাকলেও ঘাতকরা তাঁকে ইসলাম বিদ্বেষী হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা করেছিল। বঙ্গবন্ধু প্রথমেই আইন করে মদ জুয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা এবং বেতার টিভিতে কোরআন তেলাওয়াত শুরু করেন।
পল্টন থানা আওয়ামী লীগের লীগের উদ্যোগে পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে আলোচনা সভায়র আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন থানা সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামূল হক আবুল। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, পল্টন থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল চৌধুরী, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম খান সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ। এসময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধ আবু আহমেদ মন্নাফি বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমারে হত্যাকারীদের মদদ দিয়েছেন। তাই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পাশাপশি মূল পরিকল্পনাকারীদের মুখোশ উন্মোচন করার দাবি জানান তিনি।
শোক দিবসে মুক্তিযোদ্ধারা শোকমিছিল ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে লাল সালাম জানিয়েছেন। রাজধানীর মানিকমিয়া অ্যাভিনিউর কর্নার থেকে কালো পতাকা অর্ধনমিত করে শোক মিছিল বের করে। মিছিলের নেতৃত্ব দেন বি এল এফ মুজিব বাহিনীর যুদ্ধকালীন কমান্ডার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই, বাংলাদেশ মুক্তি যোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব শরীফ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পাহাড়ি বীর প্রতিক কমান্ডার মোশাররফ হোসেন ঢাকা মহানগরের ডেপুটি কমান্ডার শফিকুর রহমান শহীদ, ফরিদ কমান্ডার আবুল বাশার সহ প্রমুখ।
শোক দিবস উপলক্ষ্যে ডেমরায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে মশিউর রহমান মোল্লা সজল। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের বন্যাকবলিত এলাকায় প্রায় ১ হাজার পরিবারের মাঝে এ ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে চলচ্চিত্রের ১৯ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়া এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবের সামনে সংগঠনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শোক দিবসে মতিঝিলে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। দোয়া মাহফিল শেষে অত্র এলাকার ১০০০ এতিম, অসহায়, হতদরিদ্র, খেটে-খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে বিরিয়ানি বিতরণ করেন সভাপতি কামরুল হাসান রিপন। এসময় সকল স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ের সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর আয়োজনে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও অনাথদের মাঝে মৌসুমী ফল বিতরণ করা হয়েছে। এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকলীগের সভাপতি হাজী আব্দুস সালাম বাবুর সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল রবের সঞ্চালনায় এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ সহ কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ডেমরা, মাতুয়াইল, সারোলিয়া, দনিয়া ও ধলপুরে শোক দিবসের আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মস‚চির আয়োজন করা হয় । এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নেহরীন মোস্তফা দিশি ও শহীদ সুলতানা কামালের ছোটো ভাই গোলাম আহমেদ টিটু এবং শহীদ সুলতানা কামালের ভাতিজা প্রিন্সিপাল রাজীব মোস্তফা।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল : জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির উদ্যোগে গতকাল দিনব্যাপী কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউস্থ বোরাক টাওয়ারে সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার এনায়েতউল্যাহসহ ঢাকার সবগুলো বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ. যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সিটি কর্পোরেশন, বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন, মহানগর ও জেলা পুলিশের উদ্যোগে নানা অনুষ্ঠান ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। এছাড়া বগুড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফরিদপুর, ফেনী, ঝালকাঠি, কুড়িগ্রাম, মাদারীপুর, মাগুরা, মৌলভীবাজার, নওগাঁ, পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা, শেরপুর, সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় প্রশাসন, আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সরকারি- বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনম্র শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধ্ ুএবং তার পরিবারের সদস্যদের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।