পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক ধরনের শক্তি। আমি রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলাম না, ছিলাম মহকুমার প্রশাসক (এসডিও)। সেদিন চুরি করে ৭ মার্চের ভাষন শুনতে এসেছিলাম। ১৫ মিনিটের সেই বক্তৃতায় সব ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দিলেন বঙ্গবন্ধু। সেই বক্তৃতায় এক ধরনের শক্তি ছিল।
১৭ এপ্রিল যখন শপথ গ্রহণ করল প্রবাসী সরকার। ঘোষণাপত্র যখন পাঠ করা হলো, সেদিন সেটি কিন্তু সংবিধান ছিল। সেখানে বলা হয়েছিল প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু। প্রবাসী নয়, অস্থায়ী নয়, এটি ছিল স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রথম সরকার। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমর্থক শব্দ। এটাকে আলাদা করার কোনো সুযোগ নেই। অনেকে বলবেন বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের সময় ছিলেন না। কিন্তু তিনি না থেকেও বেশি ছিলেন।
গতকাল জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, খুব সিম্পল একটি গোল (লক্ষ্য) দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। সেটি হচ্ছে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। সমাজের ফাইনাল হ্যাপিনেস ইনডেক্স হচ্ছে হাসি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর বিরোধীরা ক্ষমতায় ছিল। তারা সব সাক্ষী প্রমাণ ধ্বংস করেছেন। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সেনা আত্মসমর্থনের জায়গাকে যাতে স্মরণ করতে না পারি, তার জন্য সেখানে শিশুপার্ক করা হয়েছে, ভাবতে পারেন? চক্রান্ত কারা করেছিল, কারা সুবিধাভোগী ছিলেন, তা বুঝতে বেশি সময় লাগেনি।
সভায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমি তখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। ওই সময় আমরা কুচকাওয়াজের পর জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু সেøাগান দিতাম। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর প্রিন্সিপাল পরিবর্তন হয়ে গেল। সেনা অফিসার প্রিন্সিপাল হয়ে এলেন। তিনি পরের সপ্তাহে ঘোষণা দিলেন জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলা যাবে না। সেদিন কিন্তু ছাত্ররা সেই নির্দেশনা মানেনি।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকে কতটা আত্মস্থ করেছি সেটি নিয়ে সংশয় রয়েছে। বঙ্গবন্ধু বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন, সমগ্র জাতি যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, তখন কোনো সামরিক শক্তি তাকে মোকাবিলা করতে পারে না। যারা এক সময় নানা ব্যঙ্গ করত তারাই এখন সবচেয়ে বড় প্রেমিক সেজেছে, তাদের বিষয়ে সচেতন থাকার সময় এসেছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিসুর রহমান বলেন, যাকে পাকিস্তানিরা হত্যা করতে সাহস পায়নি, সেই বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশি কেউ হত্যা করতে পারে, এটা ’৭৫ সালে অনেকে বিশ্বাস করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু এক মহাকাব্যের নায়ক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ১৪ আগস্ট অপরাহ্নে আমরা যখন বাসায় ফিরছি, তখন সেই আশা নিয়ে ফিরে যাচ্ছি যে পরদিন বঙ্গবন্ধু আসবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় যখনই সঙ্কটে পড়েছে, তখনই বঙ্গবন্ধু হাজির হয়েছেন। যুদ্ধের পর শিক্ষার্থীরা নানা দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছিলেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন অতিরিক্ত সচিব একেএম হুমায়ুন কবীর, মাকছুদা খাতুন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির সিইও এএম খোরশেদুল আলম, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মঈন উদ্দিন, ঢাকা ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) এমডি কাওসার আমির আলী, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) এমডি বিকাশ দেওয়ান, নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) এমডি জাকিউল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।