পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ মানে পদ্মাসেতু-হলমার্কের দুর্নীতি, ক্যাসিনো, জেকেজি-রিজেন্ট হাসপাতাল, করোনার মিথ্যা-ভূয়া সার্টিফিকেট। বিএনপি আর দুর্নীতি সমর্থক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মানে পদ্মাসেতুর দুর্নীতি, হলমার্কের দুর্নীতি। এটা কার সময়ে হয়েছে? আওয়ামী লীগের সময়ে হয়েছে। এই আওয়ামী লীগ মানে ক্যাসিনোর সাথে সম্পর্কিত একটি রাজনৈতিক দল কারণ তাদের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা এর সাথে জড়িত। আওয়ামী লীগ মানে হচ্ছে জিকেজি-রিজেন্ট হাসপাতালের লাইসেন্স দেয়া। আওয়ামী লীগ মানে হচ্ছে করোনার মিথ্যা-ভূয়া সার্টিফিকেট দেয়া।
শনিবার (১৫ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামানায় আয়োজিত দোয়া-মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন যে, বিএনপি আর দুর্নীতি সমর্থক। তাহলে করোনার এই মিথ্যা সার্টিফিকেট কী বিএনপির আমলে দেয়া হয়েছিলো, পদ্মাসেতু, হলমার্ক, ডেসটিনির কেলেংকারি কি বিএনপির আমলে হয়েছিলো? ক্যাসিনো, রিজেন্ট-জিকেজি হাসপাতালের জাল করোনা সার্টিফিকেট কোন আমলে? করোনার ভূয়া সার্টিফিকেট ও স্বাস্থ্য খাতকে ভেঙে দেয়া, দুর্নীতিগ্রস্থ করা এটার সমর্থক হচ্ছে আওয়ামী লীগ। পদ্মাসেতু ও আওয়ামী লীগের নেতাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ করার যে সংস্কৃতি সেই সংস্কৃতির ধারক বাহক হচ্ছে আওয়ামী লীগ।
দেশের অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা একটা দুঃসময় অতিক্রম করছি, ঘোর দুর্দিন অতিক্রম করছি। কথা বলতে ভয় হয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতা এটা তো একেবারে জাদুঘরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। যদি কেউ কোথাও কোনো মন্তব্য করেন ফেইসবুকে, কেউ শেয়ার দিলে রাত্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর তার কপালে তিনটা জিনিস ঘটতে পারে। একটা মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে অথবা তাকে গুম করে দেয়া অথবা তার লাশ কোনো জায়গায় রেখে দেয়া অর্থ্যাৎ বিচারবর্হিভুত হত্যার শিকার হওয়া। এই হচ্ছে প্রকাশের স্বাধীনতার অবস্থা।
বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনা করে রিজভী বলেন, আমাদের প্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আল্লাহর কাছে আরোগ্য কামনা করবো। এদেশের মানুষ, এদেশের জনগন, এদেশের বাক স্বাধীনতা-আমরা যদি এগুলোর কথা বলি, এগুলো রক্ষার কথা বলি, এগুলো আদায়ের কথা বলি তাহলে একটি নাম উদ্ভাসিত হয় জনতার মানসপটে, বাংলাদেশের দৃশ্যপটে যে বড় প্রতিকৃতিটা আমাদের সামনে ভেসে উঠে সেটি হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, শোক- দূঃখ-বেদনায় যিনি জনগণকে ছেড়ে যাননি, জনগণের পাশে থেকেছেন। দুই বছর অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে জেলে রাখা হয়েছে। তুবুও তিনি অক্ষয়-অব্যয় গণতন্ত্রের প্রশ্নে মাথা নত করননি তিনি। আমি তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আল্লাহ‘তালা তার দীর্ঘজীবন দান করবেন। আমরা যে দুঃসময়, অন্ধকার, এই অন্ধকার থেকে আমরা মুক্তি পাবো দেশনেত্রীকে যখন আমরা আমাদের সাথে পাবো।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটা মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দেয়া হলো শুধু প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য। সেখানে তার স্বাক্ষর নাই, কোনো ধরনের তার কোনো সম্পর্ক নাই। একজন নির্দোষ মহিলা। গণতন্ত্রের জন্যে বার বার নিজের জীবনকে বিপন্ন করেছে। তিনি কারাগারের বাইরে কিন্তু সম্পূর্ণভাবে মুক্ত নয়। আজকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই এদেরই আন্দোলনের ফসল তাকে যেভাবে ক্ষত-বিক্ষত করেছে। আজকে অসুস্থ সুদুর ইংল্যান্ড থেকে দল তিনি পরিচালনা করছেন এই দুযোর্গের মধ্যে, এই দুর্দিনের মধ্যে এই গণতন্ত্রহীনতার মধ্যে।
নয়াপল্টনে দলের কয়েক‘শ নেতা-কর্মী সমবেত এই দোয়া-মাহফিলে যোগ দেন। নিচতলার রুমের বাইরে ফুটপাতে দাঁড়িয়েও নেতা-কর্মীরা তাদের প্রিয় নেত্রীর দোয়া মাহফিলে অংশ নিতে দেখা যায়। ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন। এই দিবসটি উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল হলেও দোয়া মাহফিলের ব্যানারে জন্মদিনের কোনো কথা লেখা ছিলো না।
ব্যানারে লেখা ছিল্-ো ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্য ও সুস্থতার কামনা, দেশবাসী ও দলের নেতা-কর্মীদের করোনা ও অন্যান্য রোগে মৃত্যুবরণে তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের দুদর্শায় থেকে রেহাই পেতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল’।
দোয়া মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী উলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদার।
দলের স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেলও বক্তব্য রাখেন। এই মিলাদ মাহফিলে বিএনপির আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, শামীমুর রহমান, ডা. রফিকুল ইসলাম, হায়দার আলী খান লেলিন, কাজী আবুল বাশার, রফিক শিকদার, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক নেতা কাজী ইফতেখায়রুজ্জামান শিমুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা মো. মোর্শেদ আলম, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা, জাহাঙ্গীর আলম রিপন প্রমূখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।