Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিষক্রিয়ায় শেষ কোটি টাকার মাছ

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার : | প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

ঢাকার আশুলিয়ার জিরাবোতে বিষক্রিয়ায় একটি খামারের কোটি টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ করেছেন খামার মালিকরা। তবে পানিতে বিষক্রিয়া নয়, খাবারের বিষক্রিয়া ও অক্সিজেনের অভাবে মাছ মারা গেছে এমনটাই ধারণা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদের। এছাড়া এসব মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকা ও মাটিতে পুতে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। গতকাল আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার দেওয়ান ইদ্রিস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন একটি মাছের খামারে এ ঘটনা ঘটে।
খামার মালিক শরিফুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম দুই ভাই। তারা জানান, প্রায় ৪০ বিঘা জায়গা জুড়ে দীর্ঘদিন মাছ চাষ করে আসছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে হঠাৎ ২-১টা মাছ পানিতে ভেসে ওঠে। গতকাল সকাল থেকে ৩০ থেকে ৪০ জন লোক নিয়ে কয়েকশ’ মণ মরা বড় বড় রুই, কাতল মাছ পানি থেকে তুলতে শুরু করি। খামারে প্রায় ১০ বছরের পুরোনো মাছও ছিলো। পানির নিচেও অনেক মাছ মরে পড়ে রয়েছে। তাদের দাবি, বিষ দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দুর্বৃত্তরা খামারের মাছ মেরেছে।
তবে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, প্রাথমিকভাবে পানিতে বিষক্রিয়ার লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তবে খাবারের বিষক্রিয়ায় মাছ মারা যাওয়ার লক্ষণ দেখা গেছে। তিনি বলেন, পানিতে অ্যামোনিয়া গ্যাস ও পিএইচ বা পানির ক্ষারীয় মাত্রা বেড়ে যাওয়ার উপস্থিতি পানিতে দেখা গেছে। কেউ হয়তো ষড়যন্ত্রমূলক মাছের খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়েছে। আবার অনেক সময় দীর্ঘদিন ধরে মাছের অতিরিক্ত খাবার পানির নীচে জমে গিয়ে বিষাক্ত অ্যামোনিয়া গ্যাস তৈরি হয়। ফলে মাছ সে খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে। আবার পুকুরের ধারণক্ষমতার থেকে বেশি মাছ থাকায় সেই মাছের পায়খানা জমেও অ্যামোনিয়া গ্যাসের সৃষ্টি হয়ে মাছ মারা যেতে পারে। তবে পানিতে বিষের কোন গন্ধ পাওয়া যায়নি। মাছের ল্যাব পরীক্ষার পরই বিষয়গুলো আরও পরিস্কার হওয়া যাবে। এছাড়া পানিতে বিষক্রিয়া হলে আশপাশের মাছের খামারও ক্ষতিগ্রস্ত হতো। কিন্তু সেই রকম কোন লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, খামারিদের মতে এই খামারে প্রায় ৩০০ মণ মাছ মারা গেছে। যার বাজার মূল্য আনুমানিক কোটি টাকা। যেসব মাছ মারা গেছে সেগুলো অবশ্যই মাটিতে পুতে ফেলতে হবে। এছাড়া এই মাছ কোনভাবেই খাওয়া যাবে না। যদি বিষক্রিয়া হয়ে মাছ মারা যায়, তাহলে মানুষ খেলেও তার শরীরে বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তিনি বলেন, আমাদের মাছ পরীক্ষা নীরিক্ষা করা সুযোগ নেই। ফলে খামারিদের এসব মাছ সংগ্রহ করে ময়মনসিংহে পরীক্ষাগারে পাঠাতে হবে। সেই পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে।



 

Show all comments
  • জাবের পিনটু ১৫ আগস্ট, ২০২০, ৩:৫৬ এএম says : 0
    মানুষ কত নিষ্ঠুর হলে এমন গর্হিত কাজ করতে পারে।
    Total Reply(0) Reply
  • কামাল রাহী ১৫ আগস্ট, ২০২০, ৩:৫৭ এএম says : 0
    বিষয়টি ভালো করে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জাানাচ্ছি।
    Total Reply(0) Reply
  • কে এম শাকীর ১৫ আগস্ট, ২০২০, ৩:৫৮ এএম says : 0
    খবরটি পড়ে খুবই খারাপ লাগলো। একজন খামারি কত কষ্ট করে একটা স্বপ্ন বুনেছেন আর তা বিষক্রিয়ায় শেষ হয়ে গেল।
    Total Reply(0) Reply
  • চাদের আলো ১৫ আগস্ট, ২০২০, ৩:৫৯ এএম says : 0
    ঘটনা তদন্ত করে প্রকৃত কারণ বের করা হোক। যদি শত্রুতা করে কেউ বিষ দেয় তাহলে তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • হিমেল ১৫ আগস্ট, ২০২০, ৩:৫৯ এএম says : 0
    মানুষ এত অমানবিক হয় কি করে। অবলা পশু-প্রাণির ওপর শত্রুতার ঝাল মেটানো কত নিকৃষ্ট কাজ।
    Total Reply(0) Reply
  • মরিয়ম বিবি ১৫ আগস্ট, ২০২০, ৪:০০ এএম says : 0
    এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
    Total Reply(0) Reply
  • হৃদয় আমার বাংলাদেশ ১৫ আগস্ট, ২০২০, ৪:০০ এএম says : 0
    ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হোক। না হলে তারা পথে বসে যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • আবির ১৫ আগস্ট, ২০২০, ৭:১১ এএম says : 0
    অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ