পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এই আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই জিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১৫৩ জন মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার ভয়ে আজ জাতির কণ্ঠ রুদ্ধ। বিএনপি শুরু থেকেই বলে এসেছে এই আইন সংবিধান বিরোধী এবং এটা আইন জনগণের কন্ঠরোধ করার জন্য সরকারের হাতিয়ার। তারা ক্ষমতায় টিকেজ থাকার জন্য এই আইন করেছে। অবিলম্বে এই আইনটি বাতিল করা উচিৎ এবং জনগণের চিন্তা-ভাবনা, তার স্বাধীনতার প্রকাশকে নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল শুক্রবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে জানিয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, যে সমস্ত আইন মানুষের অধিকারকে খর্ব করে, মানুষের স্বাধীনতার চেতনার যে বিষয়গুলো ছিলো বাক স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা সেগুলোকে খর্ব করে, হরণ করে। অবশ্যই আমরা রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্ব যদি পাই কোনো সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা সেগুলোকে অবশ্যই বাতিল করবো।
এই আইন কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ প্রক্রিয়ারই একটা অংশ। যখনই কোনো সরকার কর্তৃত্ব পরায়ন হয়ে উঠে, স্বৈরাচারী হয়ে উঠে, ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র পরিণত করতে চায় তখনই প্রথম আঘাত হানে সংবাদ প্রকাশ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর। একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াকে দমন করা। সেটাই এই সরকার অত্যন্ত পরিকর্পিতভাবে, অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে, সচেতনতার সঙ্গে করে চলেছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানান মির্জা ফখরুল।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাগুলোর মূল অভিযোগ হলো, ব্যক্তির মানহানি, আক্রমণাত্মক মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শন কিংবা রাষ্ট্রের তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ করা, ভাবমূর্তিক্ষুন্ন করা। অথচ এই সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা প্রতিনিয়ত কিভাবে বিরোধীদলীয় কিংবা ভিন্নমতাবলম্বীদের সম্মানহানি করছে, কিভাবে আক্রমণাত্মকভাবে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করছে, কিভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এই সরকারের মন্ত্রী-এমপি-আমলা-পুলিশের লুটপাট কিভাবে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনামক্ষুন্ন করছে। এ সরকারের নেতাকর্মীদের করোনা সার্টিফিকেট বিক্রির কারণে ইতালিতে বাংলাদেশ থেকে আগত কোন ব্যক্তিকে এখন প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না, নিউ ইয়র্ক টাইমসে নেতিবাচক প্রবন্ধ হয় বাংলাদেশকে নিয়ে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের শীর্ষ দেশগুলোতে বাংলাদেশ উঠে আসে শীর্ষে। এসবের জন্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনামক্ষুন্নের জন্য তাহলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কিংবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী কর্মকান্ড বা সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে কি এই সরকারের কর্তাব্যক্তিরা দন্ডিত হবেন না বা তাদেরকে দায়ী করা সম্ভব হবে না? সরকার কী কোনো ভাবে দায় এড়াতে পারেন।
মানবাধিকার সংস্থাসমূহের তথ্য তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে মোট ১০৮টি মামলায় ২০৪ জন আসামী। তাদের মধ্যে সাংবাদিক ৪৪ জন, আর অন্যান্য পেশায় কর্মরত ও সাধারণ মানুষ ১৬০ জন। গত বছর এই আইনে মামলা হয়েছে ৬৩টি, ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও আইসিটি অ্যাক্ট মিলিয়ে মামলা হয়েছে ৭১টি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।