Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত ডিজির দায়িত্ব পেলেন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০২০, ১২:০১ এএম

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) হিসাবে (চলতি দায়িত্বে) নিয়োগ পেয়েছেন প্রফেসর ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা। আগামী ২০ আগস্ট থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে। গতকাল মন্ত্রনালয়ের উপসচিব শারমিন আক্তার জাহান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ সংক্রান্ত পদায়নের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে অধিদফতরের রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক হিসাবে কর্মরত আছেন। অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, এই পদায়নের ফলে তিনি প্রফেসর ডা. সানিয়া তাহমিনার স্থলাভিষিক্ত হবেন। আগামী ১৯ আগস্ট অতিরিক্ত মহাপরিচালকের পদ থেকে অবসরে যাচ্ছে তিনি।

জানা গেছে, প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ২০১৬ সালে রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ১৯৮৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করে একটি বিদেশী এনজিওতে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ এন্ড সোশাল মেডিসিন-নিপসম থেকে মার্স্টার্স অব পাবলিক হেলথ ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল-বিএমআরসিতে সহকারি পরিচালক হিসিবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ১৯৯৭-৯৮ সময়ে তিনি পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে সহকারি অধ্যাপক হিসাবে নিপসমে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এর পরপরই তিনি উচত্তর শিক্ষার্থে বিদেশ গমন করেন।

এদিকে অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসাবে নিয়োগ পাওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ স্বাস্থ্য বিভাগে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সরকারি সব ধরনের নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে তাকে এই পদে পদায়ন করা হয়েছে। তারা বলেন, দি বিসিএস রিক্রুটমেন্ট রুলস ১৯৮১ এবং দি বিসিএস এক্সমিনেশন ফর প্রমোশন রুলস ১৯৮৬, এজ এমেনমেন্ড আপটু আগষ্ট ১৯৯৯’ অনুযায়ী কাউকে অতিরিক্ত মহাপরিচালক হতে হলে, তাকে অবশ্যই কমপক্ষে ১৮ বছরে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়া অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক, চিকিৎসা শিক্ষা জনশক্তি উন্নয়ন, প্রাইমারি হেলথ কেয়ার, রোগনিয়ন্ত্রণ, কেন্দ্রীয় ঔষধাগার, আইপিএইচএন, আইপিএইচ, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এই প্রতিষ্ঠানগুলো যে কোন একটির পরিচালক হিসাবে কমপক্ষে দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়া মেডিকেল কলেজ, নিপসম, এনআইসিভিডি, আরআইএইচডি, এনআইও, আইডিসিএইচ, অথবা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল বা ভাইস প্রিন্সিপাল হিসাবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অথবা নিপসমের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, অতিরিক্ত পরিচালক হিসাবে নিপসম দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিন্তু এর কোনটির অভিজ্ঞতা তার ছিল না।

অধিদফতরের সিনিয়র ও জুনিয়র একাধিক কর্মকর্তা বলেন, একজন কর্মকর্তা যিনি বিসিএস ক্যাডার অফিসার নন, একজন নন ক্যাডার অফিসার হিসাবে কিভাবে অতিরিক্ত মহাপরিচালক হন? দি বিসিএস রিক্রুটমেন্ট রুলস ১৯৮১ অনুযায়ী যা সম্পূর্ণ অবৈধ।

সংক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা বলেন, করোনার মতো মহামারির সময়ে তিনি আইইডিসিআর’র পরিচালক হিসাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। এর আগে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্স-এ যোগদান করেন। তার ফাইল নথিভুক্ত হলে তিনি পুনরায় অসাধুতার আশ্রয় নিয়ে সরকারি চাকরিতে পুনর্বহাল হন। স¤প্রতি তিনি সরকারি নিয়ম-নীতির বাইরে গিয়ে, স্বাস্থ্য অধিদফতরকে পাশ কাটিয়ে স্বল্প মেয়াদী প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত অর্ধশত মেডিকেল টেকনোলজিস্টের চাকরি রাষ্ট্রীয়করণ করেন। সবমিলিয়ে এই নিয়োগে স্বাস্থ্য অধিদফতরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাস্থ্য


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ