পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাইকোর্টের বেঞ্চ অফিসারের আড়ালে মাদক কারবার করে আসছিলেন মোরশেদুল হাসান সোহেল নামের এক ব্যক্তি। অবশেষে বিপুল পরিমান ইয়াবা ও এক নারীসহ তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে গ্রেফতারের আগে পুলিশকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দেয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। গ্রেফতার সোহেলের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ পৌরসভার সাহেবগঞ্জ এলাকায়। তিনি হাইকোর্টে বেঞ্চ অফিসারের দায়িত্ব পালন করলেও নিজেকে কখনো ব্যারিস্টার, কখনো বিচারক বলে পরিচয় দিতেন।
পুলিশ জানায়, গত ৬ আগস্ট যাত্রাবাড়ী এলকায় অভিযান চালিয়ে রানা মন্ডল নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে রানা জানান, এই ইয়াবা তিনি মিরপুর এলাকার মাদক সম্রাট সোহেলের কাছ থেকে কিনে এনেছেন। তার দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে পরে ওই দিনই মিরপুরের মধ্য পীরেরবাগের ৩১৫ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় ফাতেমা ইসলাম চাঁদনী নামের আরেক খুচরা মাদক বিক্রেতাসহ সোহেলকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে ৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ আরো জানায়, গ্রেফতারের আগে সোহেল পুলিশকে ধমক দেয়ার চেষ্টা করেন। পরে প্রমাণ পেয়ে দমে যান তিনি। এর পর পুলিশকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব করেন। পুলিশ প্রস্তাবে রাজি না হয়ে তাকে গ্রেফতার করে। গতকাল যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, তাদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী ও মিরপুর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মিরপুর থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গ্রেফতারের পরদিন ১০ দিনের রিমান্ডে আবেদন চেয়ে আদালতে পাঠানো হয় তাদের। কিন্তু আদালত রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে আদালতে পাঠানোর নির্দেশনা দেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে চার্জশিট দেয়া হবে।
তবে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ইয়াবা বিক্রির টাকায় তিনি দুটি বিলাসবহুল গাড়ির মালিক। এর মধ্যে গত কোরবানির ঈদের আগে ৯৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি গাড়ি কিনেছেন, যেটির ওপর এখনো নম্বর প্লেট পড়েনি। পুলিশের ধারণা, তার বিপুল টাকা থাকতে পারে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করতে না পারায় তার সম্পদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নিতে পারেননি তারা।
এদিকে বেঞ্চ অফিসার মোরশেদুল হাসান সোহেলের বিষয়ে আজ (বুধবার) সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। জন্মাষ্টমীর বন্ধ থাকায় গতকাল তার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে আজ ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে-মর্মে ইঙ্গিত দেন সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি ইনকিলাবকে বলেন, মোরশেদুল হাসান সোহেলকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আদালত খুললে হয়তো তার বিষয়ে প্রশাসন থেকে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের এই মুখপাত্র বলেন, তাকে আমি ভালো করে চিনিও না। পত্রিকায় খবর পড়ে জানলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।