পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে চলতি বছরের পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করার চিন্তা করছে সরকার। এবারের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাতিলের প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠাতে যাচ্ছে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এসব পরীক্ষা গ্রহণ করাকে যুক্তিযুক্ত মনে করছেন না নীতিনির্ধারকরা। তাই এই দুটি পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করে বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে, বিকল্প কয়েকটি প্রস্তাবও দেয়া হচ্ছে বাতিলের প্রস্তাবের সাথে।
জানা যায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি প্রাণঘাতি এই ভাইরাস। কবে নাগাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের সিলেবাস সম্পূর্ণ করাসহ নানা ইস্যুতেই সমস্যা দেখা দিয়েছে। যদিও অনলাইনে ক্লাস সম্প্রচার করা হচ্ছে কিন্তু সকল শিক্ষার্থীকে এখনো এই ক্লাসে যুক্ত করতে পারেনি সরকার। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শিক্ষাবর্ষ সমাপ্ত করতে চলতি বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী এবং জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বাতিল করার প্রস্তাব করতে যাচ্ছে দুটি মন্ত্রণালয়। এর বিকল্প হিসেবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। সেই ফলাফলের ভিত্তিতে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে ভালো ফলাফল করা শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হবে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, কেবল এ বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না নেওয়ার জন্য তারা সরকারের কাছে শিগগির সারসংক্ষেপ হিসেবে প্রস্তাব পাঠাবেন। ইতোমধ্যে প্রস্তাব প্রায় তৈরি করা হয়েছে। রোববার বা সোমবার পাঠানো হবে। সচিব জানান, স¤প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের সঙ্গে তাঁদের একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানেও তারা তাঁদের পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, পরীক্ষার বিষয়ে তারা বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছেন। সেগুলো নিয়ে এখন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে একটি সারসংক্ষেপ তৈরি সরকারের কাছে পাঠাবেন। তবে এখনো পরীক্ষা বাতিলের কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, কোরবানির ঈদের আগে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট অষ্টম শ্রেণি শেষে অনুষ্ঠিত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা নিয়ে ছয়টি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাবে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি সংকোচন এবং বিষয় কমিয়ে আগামী ডিসেম্বরে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পরীক্ষা ছাড়াই নবম শ্রেণিতে উঠবে শিক্ষার্থীরা। এই প্রস্তাব নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আলোচনা চলছে।
সাধারণত নভেম্বরে পিইসি, জেএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর পিইসিতে প্রায় ৩০ লাখ এবং জেএসসিতে প্রায় ২৫ লাখ শিক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।