পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত থাকা চলতি বছরের এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষা গ্রহণের রোডম্যাপ তৈরি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে কিংবা অক্টোবরের শুরুতে এই পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। করোনাভাইরাসের কারণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা যায় এজন্য বাড়ানো হচ্ছে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা। একটি বেঞ্চে একজন শিক্ষার্থীকে বসিয়ে পরীক্ষা গ্রহণের চিন্তা করছে মন্ত্রণালয়। এছাড়া প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থাও রাখার কথা ভাবছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে গত ১৮ মার্চ থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। স্থগিত হয়ে যায় চলতি বছরের ১ এপ্রিলের পূর্বনির্ধারিত এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষা। এতে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে ১২ লাখ পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। দীর্ঘ ৫ মাসেই এই প্রাণঘাতি ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসলেও ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সবকিছুই সচল করে দেয়া হয়েছে। তাই বিকল্প পদ্ধতি উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা গ্রহণের কথা ভাবছে শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে অথবা অক্টোবরের শুরুতে এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষা আয়োজনের লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এজন্য শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত কেন্দ্রের বাইরে পার্শ্ববর্তী ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা চাওয়া হয়েছে। নতুনভাবে কেন্দ্র বাড়িয়ে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।
আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ড থেকে জানা গেছে, পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থী কমিয়ে একটি বেঞ্চে একজন করে বসানো হবে। ক্লাসরুমে যতগুলো বেঞ্চ থাকবে ততজন পরীক্ষার্থীর সিট নির্ধারণ করা হবে। কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হলে পার্শ্ববর্তী ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর গেটের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হবে। পরিদর্শক ও পরীক্ষার্থীরা ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করে ভেতরে প্রবেশ করবেন।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তাদের কাছে শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে। চলতি বছর সারাদেশে কোথায় কোন কেন্দ্রে কতজন পরীক্ষার্থী রয়েছে সে তথ্য পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশের ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত কেন্দ্র হিসেবে পরীক্ষা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু করতে আমরা একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছি। পরীক্ষার জন্য পরিবেশ ও পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। মাঠ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জরিপ করে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, পরীক্ষা আয়োজনে আমাদের সব প্রস্তুতি অনেক আগেই শেষ হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দিলে পরীক্ষা শুরু করা হবে।
জিয়াউল হক বলেন, পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় পরীক্ষা কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ক্লাসের মধ্যে এক বেঞ্চে একজন করে পরীক্ষার্থী বসানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।