পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসে প্রাণ গেল পুলিশের এএসআই ও এক সিনিয়র নার্সের। মৃতরা হলেন ঝিনাইদহ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত এএসআই (সশস্ত্র) দলিল উদ্দিন বিশ্বাস (৫৮) ও তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স মর্জিনা খাতুন (৫৮)। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
সাতক্ষীরা : করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নার্সের (৫৭) মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার রাত সোয়া নয়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলায়। তিনি তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স ছিলেন।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মানস কুমার মন্ডল বলেন, জ্বর, সর্দি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২০ জুলাই দুপুরের দিকে ওই নার্সকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনেরা। তাকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত সোয়া নয়টার দিকে তিনি মারা যান।
তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক অতনু কুমার ঘোষ বলেন, ৯ জুলাই ওই নার্সের করোনা পজিটিভ ফল আসে। তিনি বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তিনি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। রাত সোয়া নয়টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসা কর্মকর্তা জয়ন্ত সরকার বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওই নার্সের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তার বাড়ি লকডাউন করার জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে।
দলিল উদ্দিন বিশ্বাস : করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ পুলিশের আরও এক সদস্য মারা গেছেন। তিনি হচ্ছেন এএসআই (সশস্ত্র) দলিল উদ্দিন বিশ্বাস (৫৮)। ঝিনাইদহ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন তিনি। পুলিশ সদর দফতর থেকে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি ২৫ জুলাই রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হন। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীণ ছিলেন তিনি। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। গত সোমবার রাতে তিনি মারা যান। তার বাড়ি যশোর জেলার নওদা গ্রামে। পুলিশের ব্যবস্থাপনায় লাশ তার গ্রামের বাড়ি পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।