পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা হয় ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারারের মাধ্যমেই। বিশ্ববিদ্যায়ের সকল কার্যক্রমের দায়িত্ব থাকে ভিসির ওপর। অন্যদিকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক দেখভাল করেন প্রো-ভিসি। আর আর্থিক সকল দায়িত্ব থাকে ট্রেজারারের ওপর। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, একাডেমিক কমিটি, অর্থ কমিটি ও শৃঙ্খলা কমিটির মতো গুরুত্বপূর্ণ সব কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে হয়ে ভিসিকে। তার মাধ্যমেই এসব কমিটির সদস্য মনোনীত, ডীন, বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু যাদের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে সেই শীর্ষ পদগুলোই থাকছে দীর্ঘ সময় ধরে ফাঁকা। শুধু বেসরকারিই নয়, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এসব গুরুত্বপূর্ণ পদ ফাঁকা রেখেই পরিচালিত হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মিলে ভিসি ও প্রো-ভিসির ১৩০টি পদ শূণ্য রয়েছে। শূণ্য এসব পদে নিয়োগ দিতে এবার পুল করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ সিনিয়র প্রফেসরদের নামের তালিকা ও জীবন বৃত্তান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে আহবান জানানো হয়েছে। অন্যদিকে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যে সকল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারারের পদ শ‚ন্য রয়েছে সে সব শুন্য পদে নিয়োগের জন্য নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরনের ও আহ্বান জানান তিনি। এই সময়ের মধ্যে তালিকা প্রেরণ করতে না করলে মন্ত্রণালয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ভিসি ছাড়াই বর্তমানে দেশের তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। প্রো-ভিসি নেই ২৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। অন্যদিকে ১৯টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই ভিসি, প্রো-ভিসি নেই ৮৩টিতে। অথচ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুসারে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার পদে পূর্ণকালীন নিয়োগ দেয়া বাধ্যতামূলক। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই করুণ চিত্র দেখে অবাক হয়েছেন শিক্ষাবিদেরাও। তাদের প্রশ্ন, শীর্ষ পদগুলো ফাঁকা রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে কিভাবে চলে শিক্ষা কার্যক্রম? আর শিক্ষার্থীরাও কিভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছে? শিক্ষাদান নয়, মুনাফার উদ্দেশ্য নিয়ে চলা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালনা ব্যয় কমানোর জন্যই শীর্ষ পদগুলো ফাঁকা রেখে পরিচালিত হচ্ছে বলে তারা মনে করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তথ্য অনুযায়ি, দেশে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩টি চলছে ভিসি ছাড়া এবং ২৫টি প্রো-ভিসি ছাড়া।
অন্যদিকে বর্তমানে অনুমোদিত ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ৯২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষা কার্যক্রমে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কেবল ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার এই তিন পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ভিসি ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে ১৯টিতে, প্রো-ভিসি নেই ৮৩টির। যদিও এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অর্জিত ডিগ্রির মূল সনদ ভিসি এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক স্বাক্ষরিত হতে হবে। আইন অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট চার বছর মেয়াদে প্রত্যেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি, এবং ট্রেজারার পদে নিয়োগ দেবেন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সব সময় আইন মেনে চলার জন্য বলা হয়। তবে অনেক সময় নির্দিষ্ট পদের জন্য যোগ্য শিক্ষক পাওয়া যায় না। এজন্য কিছুদিন পদশূণ্য থাকে।
ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নিয়োগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আগ্রহ কম। তবে অবশ্যই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেসিডেন্টের মনোনীত ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারের পদ শুন্য রয়েছে। শীগ্রই এই সকল শুন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নেয়া হবে। ৩১ আগস্টের মধ্যে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ সিনিয়র প্রফেসরদের নামের তালিকা ও জীবন বৃত্তান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে আহবান জানানো হয়েছে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যে সকল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার পদ শ‚ন্য রয়েছে সে সব শুন্য পদে নিয়োগের জন্য নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের আহ্বান জানানো হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তালিকা প্রেরণ করতে না করলে মন্ত্রণালয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।