পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়েই সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো মাহবুব আলী। তিনি বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের ভূমি উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার পর বর্তমানে পাইলিং এর কাজ চলমান রয়েছে। ৩ হাজারের কিছু বেশি পাইলিং এর মধ্যে ইতিমধ্যে ৪৬৪টি পাইলিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট কাজের ৬.৪ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। কাজের এ অগ্রগতি সন্তোষজনক। প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, নির্মাণ কাজ সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত জুন-২০২৩ এর মধ্যেই তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে তা যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে।
গতকাল রোববার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ও অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের নবনির্মিত ভবন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের উন্নয়ন কাজ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের পাশাপাশি একই সাথে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। কক্সবাজার ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার কাজ চলছে। সৈয়দপুরে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন হওয়া মাত্রই অন্যান্য কাজ শুরু করা হবে। এছাড়াও বাংলাদেশের সকল অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর এর নানাবিধ উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ একদিনের জন্যও বন্ধ ছিল না। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। তৃতীয় টার্মিনাল এ কর্মরত জনবলের জন্য আলাদা বাসস্থান, কোভিড-১৯ এ আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা, চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণসহ নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলী বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালের বিদ্যমান নকশায় কোনো পরিবর্তন করা হচ্ছে না। নির্মাণ স্থানের মাটির অবস্থার কারণে স্ক্রুড পাইলিং এর পরিবর্তে বোর পাইলিংয়ে কাজ করা হচ্ছে। এটি একান্তই একটি টেকনিক্যাল বিষয়। এর কারণে প্রকল্প ব্যয় কোনভাবেই বৃদ্ধি পাবে না বরং মোট প্রকল্প ব্যয় হতে ৭৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। সাশ্রয়কৃত এই টাকা দিয়ে সরকার ও জাইকার সম্মতি এবং অন্যান্য বিধিগত প্রক্রিয়া নিষ্পত্তি সাপেক্ষে তৃতীয় টার্মিনালে নির্মিতব্য ১২টি বোর্ডিং ব্রিজের অতিরিক্ত আরো ১৪টি বোর্ডিং ব্রিজ ও একটি ভিভিআইপি টার্মিনাল কমপ্লেক্স নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।