পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ৭টা থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। গত ৩১ মে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলেও করোনাভাইরাসের কারণে এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম বিলম্বে শুরু হয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জানিয়েছে, দেশের সব সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। সব প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জানিয়েছে। শুধু অনলাইনে সর্বোচ্চ ১০টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীর মেধা ও পছন্দক্রম অনুসারে তাকে নির্দিষ্ট কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হবে। নয়টি সাধারণ এবং মাদরাসা বোর্ডের কোনো কোনো কলেজে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে এরইমধ্যে বোর্ডভিত্তিক সেই তালিকাও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এবার নগদ, সোনালী ব্যাংক, টেলিটক, বিকাশ, শিউর ক্যাশ ও রকেট-এর মাধ্যমে ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
একাদশে ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়েছে, ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবেন। আর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় উত্তীর্ণদের ভর্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স হবে ২২ বছর। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জানিয়েছে, ৯ আগস্ট সকাল ৭টা থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন নেয়া হবে। ২৫ আগস্ট রাত ৮টায় প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। প্রথম তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ২৬ থেকে ৩০ আগস্টের মধ্যে যে কলেজের তালিকায় নাম আসবে ওই কলেজেই যে শিক্ষার্থী ভর্তি হবেন তা এসএমএসে নিশ্চিত করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চিত না করলে আবেদন বাতিল হবে।
৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন নেওয়া হবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় প্রকাশ করা হবে। ৫ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হবে।
৭ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন নিয়ে পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল এবং তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল ১০ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে। ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত তৃতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হবে।
১৩ সেপ্টেম্বর রাতে কলেজভিত্তিক চ‚ড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। আর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তি হতে হবে।
এদিকে ভর্তি নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে আনন্দের পাশাপাশি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। সারাদেশে ভালো মানের কলেজে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৬০ হাজার আসন থাকলেও এবার এক লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ জন্য ভালো ফল পেয়েও সেরা কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
গত কয়েক বছরে অনলাইনে যেসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন বেশি পড়েছে সে হিসাবে মানসম্মত প্রতিষ্ঠান রয়েছে ঢাকা বিভাগে ৭৫টি, রংপুর বিভাগে রয়েছে ৩২টি, বরিশাল বিভাগে ১৪টি, রাজশাহী বিভাগে সাতটি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯টি, খুলনা বিভাগে ১৩টি এবং সিলেট বিভাগে ২৩টি। এসব কলেজে স্ব স্ব বিভাগের জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা ভিড় করলে সবার সংস্থান হবে না। এর বাইরে সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের বাইরের অন্য দুই শিক্ষা বোর্ড থেকে শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদন করবে। শিক্ষা বোর্ড বলছে, এবার পাস করেছে ১৬ লাখ ৯০ হাজার। আসন আছে ২৫ লাখের বেশি। আসন নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। যে পরিমাণ শিক্ষার্থী এবার পাস করেছে সে তুলনায় প্রায় দেড়গুণের বেশি আসন রয়েছে। তাই ভর্তিতে খুব একটা সমস্যা হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।