পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিবছর এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের এক সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হয় একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম। ক্লাস শুরু হয়ে যায় জুন মাসে। কিন্তু এবার প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস ওলট-পালট করে দিয়েছে বিগত কয়েকবছর ধরে চলে আসা এই রুটিন। দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগেই মাধ্যমিকের পাবলিক পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। তবে পিছিয়ে যায় ফলাফল প্রকাশ। নির্ধারিত সময়ের পরে ফল প্রকাশিত হলেও এখন আটকে আছে ভর্তি প্রক্রিয়া, ক্লাস শুরু কবে হবে তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসেই একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ৬ আগস্টের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হলে অনলাইনেই শুরু হবে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস। এসএসসি, দাখিল ও আলিম পরীক্ষা বিগত কয়েকবছর ধরেই ফেব্রুয়ারির প্রথম কর্মদিবসে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা শুরু ও শেষ হয়। তবে এরপরই গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পরে এজন্য ১৮ মার্চ থেকে সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ২৬ মার্চ থেকে শুরু হয় সাধারণ ছুটি, বন্ধ থাকে গণপরিবহন চলাচলও। এরই মধ্যে পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পরীক্ষকদের কাছে পাঠানো হয় এবং মূল্যায়ন শেষে ডাক-বিভাগের সহযোগিতায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ডে আনা হয়। ফলে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ফল ঘোষণার সময় থাকলেও ৩১ মে ফল প্রকাশিত হয়।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর ফল প্রকাশের ১ সপ্তাহের মধ্যেই তারা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে দেন এবং ক্লাস শুরু হয় জুনে। কিন্তু এবার জুন মাস শেষ হলেও এখনো ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়নি। ক্লাস কবে শুরু সে বিষয়েও নিশ্চিত কিছু বলতে পারছেন না শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা।
যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কোনভাবেই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ও ক্লাস গ্রহণ করা সম্ভব হবে না। ফল প্রকাশের পর প্রথম দিকে অনলাইনে একাদশ শ্রেণির ভর্তি সম্পন্ন করার চিন্তা করা হলেও শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা জানান, একজন শিক্ষার্থী অনলাইনে ভর্তি সম্পন্ন করতে চাইলেও তাকে কমপক্ষে ৪বার দোকানে যেতে হবে। যেখানে একাধিক ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা করোনার ঝুঁকির মধ্যে পরতে পারে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর হারুন-আর-রশিদ বলেন, সার্বিক পরিস্থিতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া এখনই শুরু করা যাচ্ছে না। সেপ্টেম্বরের দিকে যেহেতু (একাদশ শ্রেণির) ক্লাস শুরুর চিন্তা, তাই এখনই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করাটা রিস্ক হয়ে যায়। কারণ অনলাইনে কলেজে ভর্তির আবেদন করা গেলেও শিক্ষার্থীরা কম্পিউটারের দোকানে যায়, কলেজে যায়। আমাদের যে অভিজ্ঞতা, প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ হাজার অভিভাবক বোর্ডেই আসেন। হয়ত আবেদন করতে পারেননি বা আবেদন করার সময় ভুল হয়েছে, সেটা ঠিক করতে দৌড়ে কাছে আসেন। এসব বিচার-বিশ্লেষণ করে বলছি সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হবে না। তবে কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করতে সব প্রস্তুতি রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, এই সঙ্কটের সময় এসএসসি ফল প্রকাশ করা যাবে তা কেউ ভাবেনি। কিন্তু বোর্ডগুলো অমানুষিক পরিশ্রম করেছে, গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরও ফলাফল ঘোষণা করেছি। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, একাদশে ভর্তি অনেক সহজ, অনলাইনে করে ফেলা সম্ভব। গত বছরও এটি অনলাইনেই করেছি। কাজেই এটি খুব কঠিন হবে না। এ মাসেই জানিয়ে দিবো কবে নাগাদ ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হলে অনলাইনে তাদের ক্লাসও শুরু হয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।