পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারত পরে গণমাধ্যমকে নীরব থাকতে বললেও বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে সেটা সবার আগে তারাই বঙ্গবন্ধুকে জানিয়েছিল। ১৫ আগস্টের আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সতর্ক করেছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’। ভারতের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুকে দু’বার এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়। এমনকি এই ষড়যন্ত্রে যারা জড়িত তাদের বিবরণও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু, তাদেরকে ‘আমার সন্তান’ অভিহিত করে ‘তারা আমার ক্ষতি করতে পারে না’ বলে ওই তথ্য উড়িয়ে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) এর শীর্ষ কমকর্তা রামেশ্বর নাথ কাও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে তাকে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু, কাওকে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন: তারা আমার সন্তান এবং তারা আমার ক্ষতি করবে না।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অনুমোদন নিয়ে কাও ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অশোকা রায়নার ‘ইনসাইড র’ বইয়ে উল্লেখ রয়েছে, বঙ্গবন্ধু হাত নাড়িয়ে এই উদ্বেগকে উড়িয়ে দেন। কাও তার সঙ্গে কোন তর্ক করেননি। কিন্তু তাকে (বঙ্গবন্ধু) বলেন, ভারতের এই তথ্য নির্ভরযোগ্য এবং তিনি তাকে এই ষড়যন্ত্রের আরও বিস্তারিত পাঠাতে পারেন।
পরবর্তীকালে ১৯৭৫ সালের মার্চে কাও ‘র’ এর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ঢাকা পাঠান। ওই কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধুকে তার সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্রের ছক কষা বিভিন্ন ইউনিট এবং কর্মরত ও বহিষ্কৃত সেনা অফিসারদের বিবরণ দেন। ‘কিন্তু আবারও বঙ্গবন্ধু তা গ্রাহ্য করেননি,’ বলে বইটিতে বলা হয়েছে।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।