পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাই বন্ধুকে খুনের পর লাশ গুম। গলিত লাশ উদ্ধারের পর কান্নায় বুক ভাসানো। সেই সাথে জানাজা ও দাফনে অংশগ্রহণ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়েছে কিশোর খুনি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হাসানুল করিম হাসান অপকটে খুনের দায় স্বীকার করে। ঠাÐা মাথার ভয়ঙ্কর এ কিশোর অপরাধী আদালতে স্কুলছাত্র মো. রাসেল খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছে। যে ছুরি দিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় সে ছুরিটি রাসেলকে সাথে নিয়েই নিউমার্কেট থেকে কিনে হাসান।
আলোচিত এই স্কুলছাত্র হত্যা মামলার তদন্ত তদারকিতে থাকা নগর পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন নৃশংস খুনের পরও টানা সাত দিন ওই কিশোর ছিলো স্বাভাবিক। তার মধ্যে কোন অপরাধবোধ দেখা যায়নি। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পরও তার মধ্যে কোন অনুশোচনা ছিলো না। নির্মম খুনের বর্ণনা দিয়েছে পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ওই কিশোর। এই ঘটনায় বিস্ময়ে হতবাক নিহতের পরিবার, প্রতিবেশি ও খুনি কিশোরের পরিবারের সদস্যরা। গত ৩ আগস্ট রাতে নগরীর খুলশী থানার জালালাবাদ হাসেম কোম্পানির পাহাড় থেকে রাসেলের লাশ উদ্ধার হয়। ছুরির আঘাতে জর্জরিত লাশটি গলে চারিদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণি ছাত্র রাসেল ওই এলাকার হুমায়ুন কবিরের ছেলে। এই ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।
থানার ওসি প্রবন চৌধুরী বলেন, তদন্তের এক পর্যায়ে রাসেলের বন্ধু হাসানকে সন্দেহ হলে পুলিশ গত বৃহস্পতিবার তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। হাসান জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটির মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তার জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাসেল বয়সে ছোট হলেও তারা একসাথে চলাফেরা করত।
ইতোপূর্বে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাসেলের সাথে তার মারামারি হয়। আড্ডা, খেলাধুলায় সব বন্ধুদের মধ্যে রাসেল কর্তৃত্ব করতে চাইত। এসব হাসানের পছন্দ হতো না। কিছুদিন আগে রাসেল হাসানের মাকে গালি গালাজ করে। এতে হাসানের প্রচÐ অপমান বোধ হয়। হাসান ওইদিনই সিদ্ধান্ত নেয় রাসেলকে সে মেরে ফেলবে। বিষয়টি সে খুনের চার দিন আগে অপর বন্ধু রাহাতকে জানায়। তবে রাহাত তার কথা বিশ্বাস করেনি।
গত ৩১ জুলাই বিকেলে হাসান রাসেলকে নিয়ে নিউমার্কেটে যায়। সেখান থেকে স্টিলের একটি ছোরা কিনে হাসান। রাসেল জানতে চায়, ছোরা দিয়ে কি হবে। হাসানের জবাব, সামনে কোরবানি ঈদ, কাজে লাগবে। নিউমার্কেট থেকে এসে রাসেলসহ জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে। সন্ধ্যা হলে হাসান রাসেলকে হাসেম কর্পোরেশনের পাহাড়ে আসতে বলে।
কারণ জিজ্ঞাসা করলে হাসান বলে ওই পাহাড়ের টাওয়ারের নিচে চার হাজার টাকা লুকিয়ে রেখেছে সে। হাসান কিছুক্ষণ টাকা খোঁজাখুঁজি করে একটি প্যাকেট রাসেলকে দেখিয়ে তা তুলতে বলে। রাসেল প্যাকেটটি তোলার সময় মাথা নিচু করতেই হাসান সামনের দিক থেকে তার পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। রাসেল চিৎকার করলে হাসান তার মুখ চেপে ধরে টাওয়ারের পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। পরে তাকে আরো কয়েকবার ছুরির আঘাতে জর্জরিত করে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে হাসান পাহাড় থেকে দ্রæত নেমে আসে। ঈদের পর দিন বন্ধু রাহাতের সাথে হাসানের দেখা হয়। হাসান রাহাতকে রাসেলের খুনের ব্যাপারে সবকিছু খুলে বলে। পুলিশ রাহাতকে এই মামলার সাক্ষী করেছে। গ্রেফতারের পর হাসানের বাসা থেকে রক্ত মাখা পোশাক ও ছোরাটি উদ্ধার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।