Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণাঞ্চলে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

নৌপথে কর্মস্থলমুখী জনস্রোত

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ এএম

দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঈদ পরবর্তী রাজধানীমুখীদের স্বাস্থ্যবিধি বলতে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা বেশিরভাগ যাত্রী নাকে-মুখে মাস্ক পর্যন্ত পরছেন না। গত তিনদিন ধরেই ৯-১০টি বেসরকারি নৌযান ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ যাত্রীবোঝাই করে ঢাকায় গেছে। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবারের ঈদুল আজহায় রাজধানী ছাড়াও চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে মানুষের যাতায়াত অর্ধেকেরও কম।
একদিকে রুট পারমিটধারী সব নৌযান চলাচল না করা, অপরদিকে মার্চের শেষভাগে লকডাউনে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যেসব কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ বাড়িতে এসেছিলেন তাদের অনেকেই আবার কাজের আশায় ফিরতে শুরু করেছে। ফলে নৌযানসমূহে বেশি ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। উপরন্তু এবারের ঈদের আগে-পরে সরকারি নৌযান না থাকায় বেসরকারি সীমিত নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী ঢাকায় যাচ্ছে। হাত গুটিয়ে কর্মস্থলমুখী মানুষের দুর্ভোগ দেখছে বিশাল নৌবহর আর জনবলের রাষ্ট্রীয় নৌ-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান-বিআইডবিøউটিসি। এবারের ঈদে সংস্থাটির ‘বিশেষ সার্ভিস’ দূরের কথা, নিয়মিত রকেট স্টিমার সার্ভিসটিও চলছে সপ্তাহে মাত্র দু’দিন।
ঈদ শেষে গত সোমবার থেকেই রাজধানী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে কর্মজীবী মানুষের ফেরা শুরু হয়। তবে বুধবার থেকে শ্রমজীবী মানুষের ঢল নামে। এমনকি করোনা সঙ্কটের শুরুতে যারা রাজধানী ছেড়ে ফিরে এসেছিলেন তারাও আবার কাজের সন্ধানে ফিরতে শুরু করেছেন। গত দু’দিনের মত গতকালও শুধু বরিশাল থেকে ৯টি বেসরকারি নৌযান ও একটি ক্যাটামেরনে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ ঢাকায় ফিরেছে। চাঁদপুর ও ভোলা-ল²ীপুর হয়ে চট্টগামে গেছেন আরো হাজার দশেক। আজও রাজধানীমুখী একই ধরনের জনস্রোত অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন নৌযান মালিকরা। তবে শুধু বরিশাল-ঢাকা নৌপথে ৩০টি বেসরকারি নৌযানের রুট পারমিট থাকলেও এবারের ঈদের আগে-পরে চলাচল করছে সর্বোচ্চ ১৫টি।
ফলে নৌযান সঙ্কটে যাত্রীদের বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। পাশাপাশি করোনা সঙ্কটে স্বাস্থ্যবিধিও ভেঙে পড়েছে। প্রতিটি নৌযানের ডেক থেকে ছাদ পর্যন্ত যাত্রীতে ঠাসা। ফলে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টিও অনেকটাই অবান্তর। প্রশাসন এবং বিআইডবিøউটিএ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখলেও খুব বেশি কিছু করতে পারছে না। একদিকে ঘরে ফেরা মানুষকে নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে, অপরদিকে নৌযান সঙ্কটে বিকল্প কোন পথও নেই।
লকডাউনের পরে গত ৩১ মে থেকে নৌপথে যাত্রী পরিবহন শুরু হলেও এতোদিন যাত্রী সঙ্কটে বেশিরভাগ মালিকই তাদের নৌযানসমূহ বন্ধ রেখেছেন। এমনকি ঈদের সময়ও যাত্রী সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে অর্ধেক নৌযানও চলাচল করেনি। গত বৃহস্পতিবার বরিশাল বন্দর থেকে ৯টি বেসরকারি নৌযান ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঢাকায় গেলেও আরো অন্তত ১টি নৌযানের বিপুল সংখ্যক যাত্রী টার্মিনাল থেকে ফেরত যেতে বাধ্য হন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাস্থ্যবিধি

৩০ জানুয়ারি, ২০২২
১৩ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ