Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পদ্মার অব্যাহত ভাঙ্গনের মুখে ফেরিঘাটসহ সেতু প্রকল্পের স্থাপনা

মুন্সীগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০২০, ৫:০০ পিএম | আপডেট : ৬:১০ পিএম, ৭ আগস্ট, ২০২০

মাওয়ায় শিমুলিয়া ফেরীঘাট এলাকায় পদ্মার ভাংগন অব্যাহত রয়েছে। গত এক সপ্তাহের অব্যাহত ভাংগনে এবং তীব্র স্্েরাতে শিমুলিয়ার ২ টি ফেরী ঘাট এবং কুমারভোগে পদ্মা সেতুর ইয়ার্ডে দ্বিতীয় বারের মতো ব্যাপক এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বাঁশ, বালুর বস্তা ফেলে ভাংগন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। একদিকে ভাংগন রোধের চেষ্টা চলছে অন্যদিকে ভাংগন অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত স্থায়ীভাবে নদী শাসন না করলে আগামীতে পদ্মা সেতুর পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং নদী ভাংগনে হুমকিতে থাকা ১নম্বর ও ২ নম্বর ফেরী ঘাট সহ বিআইডব্লিউটিসি ও পদ্মা সেতু প্রকল্পের স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবার আশংকা রয়েছে।
প্রমোত্ত পদ্মার করাল গ্রাসে শিমুলিয়ায় কাঠালবাড়ী -শিমুলিয়া নৌরুটের ৩ নম্বর ফেরীঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত ৪ আগষ্ট আবারো আকস্মিক ভাংগনে ৪ নম্বর ফেরীঘাট এবং কুমারভোগের পদ্মা সেতুর ডকইয়ার্ডও প্রায় ১০০মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।এতে পদ্মাসেতুর মালামালের ব্যাপক ক্ষতি হয়।পদ্মার অব্যাহত বাংগনে ফেরীগাট এলাকায় পদ্মা নদী প্রায় ৬শত ফুট ভিতওে ঢুকে পড়েছে।সরেজমিনে গেখা যায় ২ নম্বর ঘাট থেকে ২ শত মিটার দূরে নদী ১ হাজার মিটার ভিতরে ঢুকে পড়েছে। যে কোন সময় নদীর তীব্র স্্েরাতে সোজা প্রবাহিত হয়ে বিসৃত এলাকা বিলীন হবে। গত ২০১৫ সালের এসময় পদ্মার ব্যাপক ভাংগনে কুমারভোগের ডকইযার্ডে আকস্মিক ব্যাপক ভাংগন দেখা দেয়।ভাংগনে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের মালামাল উঠা-নামার জন্য নির্মিত ৪টি জেটির মধ্যে ৩টি জেটি নদী গর্ভে ভেঙ্গে পড়ে। প্রবল ঘূর্ণিতে ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে মিক্সার প¬ান এলাকাটি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। নদী প্রায় ৩০/৪০ মিটার ভিতরে ঢুকে পড়ে।সর্বনাসা পদ্মার চরিত্র ভিন্ন প্রকৃতির। নদীর ¯্রােত বাধা পেলে পার্শ্ববর্তী এলাকায় তীব্র ভাংগন দেখা দেয়। নদীর উপরের পাড় থেকে তরদেশের মাটি ৫০ মিটার পর্যন্ত সরে যায়। ফেরী ঘাট এলাকা থেকে প্রায় ১৫ শত মিটার দূরে নদীর মাঝে নির্মিত বিদুৎতের পিলারে স্্েরাত বাধা পেয়ে ভিতরে ঢুকার সম্বাাবনা রয়েছে।গতকাল ( বৃহস্পতিবার) বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান এবং বিআইডব্লিউটিএ এর প্রধান প্রকৌশলী ভাংগন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ