বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঈদ পরবর্তী রাজধানী মুখি জনশ্রোতে স্বাস্থ্যবিধি বলতে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা দুরের কথা বেশীরভাগ যাত্রীই নাকেÑমুখে মাস্ক পর্যন্ত পরছেন না। গত তিনদিন ধরেই ৯Ñ১০টি বেসরকারী নৌযান ধারন ক্ষমতার প্রায় দ্বিগুন যাত্রীবোঝাই করে ঢাকায় গেলেও বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবারের ঈদ উল আজহায় রাজধানী ছাড়াও চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত অর্ধেকেরও কম।
কিন্তু একদিকে রুট পারমিটধারী সব নৌযান চলাচল না করা, অপরদিকে মার্চের শেষভাগে লকডাউনে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যেসব কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ বাড়ীতে ফিরে এসেছিলেন,তাদের অনেকই আবার কাজের আশায় ফিরতে শুরু করেছে। ফলে নৌযানসমুহে বেশী ভীড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। উপরন্তু এবারের ঈদের আগে পরে সরকারী নৌযানের পরিচালন না থাকায়ও বেসরকারী সিমিত নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী ঢাকায় যাচ্ছে। হাত গুটিয়ে কর্মস্থল মুখি মানুষের দূর্ভোগ দেখছে বিশাল নৌবহর আর জনবলের রাষ্ট্রীয় নৌ-বানিজ্য প্রতিষ্ঠান-বিআইডব্লিউটিসি। এবারের ঈদে সংস্থাটির ‘বিশেষ সার্ভিস’ দুরের কথা, নিয়মিত রকেট স্টিমার সার্ভিসটিও চলছে সপ্তাহে মাত্র দু দিন।
গত শণিবার ঈদ উল আজহার আগে ঢাকা থেকে বৃহস্পতি ও শুক্রবার বিপুল সংখ্যক কর্মজীবী মানুষ দক্ষিণাঞ্চলে ফিরলেও তা অন্য বছরে তুলনায় ছিল যথেষ্ঠ কম । নৌযান মালিক ও শ্রমিকদের মতে, বিগত বছরগুলোতে যেখানে ঈদের আগে-পরে দশ লক্ষাধীক মানুষ দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াত করত এবার তা তিন লাখও অতিক্রম করেনি। ফলে নৌযানের ব্যবসা খুবই খারাপ বলে দাবী নৌযান মালিকদের। তবে এর মধ্যেও ডেক ও কেবিন ভাড়া বৃদ্ধি করেছে বেসরকারী নৌযানগুলো।
ঈদ কাটিয়ে সোমবার থেকেই রাজধানী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে কর্মজীবী মানুষের ফেরা শুরু হলেও বুধবার থেকে শ্রমজীবী মানুষের ঢল নেমেছে। এমনকি করেনা সংকটর শুরুতে যারা রাজধানী ছেড়ে দক্ষিণাঞ্চলের পুরনো ভিটায় ফিরে এসেছিল, তারা মানবেতর জীবন কাটিয়ে আবার কাজের সন্ধানে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন। গত দুদিনের মত শুক্রবারেও শুধু বরিশাল নৌ বন্দর থেকে ৯টি বেসরকারী নৌযান ও একটি ক্যাটামেরনে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ ঢাকায় ফিরেছে। চাঁদপুর ও ভোলাÑলক্ষ্মীপুর হয়ে চট্টগামে গেছেন আরো হাজার দশেক। শণিবার পর্যন্ত রাজধানীমুখি একই ধরনের জনশ্রোত অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন নৌযান মালিকগন। তবে শুধু বরিশালÑঢাকা নৌপথে ৩০টি বেসরকারী নৌযানের রুট পারমিট থাকলেও এবারের ঈদের আগে-পরে চলাচল করছে সর্বোচ্চ ১৫টি।
ফলে নৌযান সংকটে যাত্রীদের বাড়তি ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। পাশাপাশি করোনা সংকটে স্বাস্থ্য বিধিও ভেঙে পড়েছে। প্রতিটি নৌযানের ডেক থেকে ছাদ পর্যন্ত যাত্রীতে ঠাসা। ফলে সামাজিক দুরত্বের বিষয়টিও অনেকটাই অবান্তর। প্রশাসন এবং বিআইডব্লিউটিএ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখলেও খুব বেশী কিছু করতে পারছে না। একদিকে ঘরে ফেরা মানুষকে নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে, অপরদিকে নৌযান সংকটে বিকল্প কোন পথও নেই।
লক ডাউনের পরে গত ৩১ মে থেকে নৌপথে যাত্রী পরিবহন শুরু হলেও এতদিন যাত্রী সংকটে বেশীরভাগ মালিকই তাদের নৌযানসমুহ বন্ধ রেখেছেন। এমনকি ঈদের সময়ও যাত্রী সংকটের কথা মাথায় রেখে রুট পারমিটধারী অর্ধেক নৌযানও পরিচালন ব্যবস্থায় ফেরেনি। বৃহস্পতিবার বরিশাল বন্দর থেকে ৯টি বেসরকারী নৌযান ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঢাকায় গেলেও আরো অন্তত ১টি নৌযানের বিপুল সংখ্যক যাত্রী টার্মিনাল থেকে ফরত যেতে বাধ্য হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।