পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মহামারির কারণে পর্যটন শিল্পে কার্যত চলছে লকডাউন। করোনা সংক্রমণ রোধে গত ১৮ মার্চ থেকে পর্যটন স্পট এবং ওই সব এলাকায় হোটেল-মোটেল বন্ধ করে দেয়া হয়। দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণপিপাসুদের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিন্তু আগামী ১৭ আগস্ট থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এতে করে ভ্রমণপিপাসু দর্শনার্থীদের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর হোটেল-মোটেল এবং স্পটগুলো।
জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত খুলে দেয়া প্রসঙ্গে গত বুধবার জুম কনফারেন্সে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একটি সভা হয়েছে। সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ স্যারও ছিলেন। সভায় পর্যটন শিল্প সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দেওয়ার জন্য গঠিত কমিটির সুপারিশ এবং এ কমিটির প্রণীত কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সীমিত পরিসরে পর্যটন স্পট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে শর্ত থাকবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল- মোটেলসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুসারে স¤প্রতি রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স খুলে দেওয়া হয়েছে। উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে রাঙামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ। ১৭ আগস্ট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে খুলে দেয়া হবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। এ ছাড়াও দীর্ঘ ৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে পটুয়াখালির কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, দিনাজপুরের রামসাগর, সিলেট বিভাগের মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, জাফলংসহ দেশের শতাধিক পর্যটন স্পট।
আগামী ১৭ আগস্ট খুলে দেয়ার কথা বলা হলেও করোনা মহামারির কারণে প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর আবারও স্বরূপে ফিরতে শুরু করেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। নজিরবিহীন নির্জনতা ভেঙে ঈদুল আজহার পর থেকে ফের পর্যটকদের আগমনে মুখর হয়ে উঠছে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, চলতি আগস্ট মাসের ১৭ তারিখে সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হবে সমুদ্র সৈকতসহ সকল বিনোদন কেন্দ্র। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, সৈকতে ভ্রমণে আসা বেশিরভাগ পর্যটক স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।
কক্সবাজার ও রাঙামাটিতে বেড়াতে পর্যটকেরা বলছেন, করোনা মহামারিতে ঘরবন্দি থাকতে থাকতে আর ভালো লাগছে না। অনেকে বিষন্ন। তাই একটু বিনোদনের জন্য সৈকত ভ্রমণে এসেছেন।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের নবাগত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, মূলত ঈদের পর থেকে কক্সবাজারে কিছু কিছু পর্যটক আসা শুরু করেছেন। তারা সৈকতেও নামছেন। তবে টুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে বার বার সচেতন করা হচ্ছে। সৈকতে মাইকিং করা হচ্ছে। এতদিন সৈকত ভ্রমণে কঠোর নিষেধাজ্ঞা মানা হলেও বর্তমানে একটু শিথিলভাবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গিয়ে দেখা গেছে, পর্যটকরা যে যার মতো আনন্দ উপভোগ করছেন। সমুদ্র গোসল, বালিয়াড়িতে দৌড়ঝাঁপ, স‚র্যাস্ত অবলোকনসহ নানা আনন্দমুখর সময় পার করছেন। ঢাকার উত্তরা থেকে আসা মোসা. আরেফা ইসলাম বলেন, ঘরে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছি। তাই পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে।
রাঙামাটি পর্যটন নৌযান ঘাট মালিক সমিতির ম্যানেজার রমজান আলী বলেন, সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা ট্যুরিস্ট বোট ভাড়া দিচ্ছি। করোনাভাইরাসের কারণে তেমন পর্যটক কম। তবে স্পটগুলো অপেক্ষা করছে পর্যটকদের জন্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।