Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভোলায় মেঘনায় জোয়ারের পানিতে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত

হুমকির মুখে জেলা শহর রক্ষা বাঁধ

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০২০, ৪:১৮ পিএম

ভোলায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোলার মেঘনার জোয়ারে পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্বি পেয়ে নদ-নদী উত্তাল হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন স্থানে মেঘনার পানি বিপদ সীমার ১শত ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা ছিলো বিগত দিনের সর্বোচ্চ রেকর্ড। এর ফলে বিভিন্নস্থানে প্লাবিত হয়ে অসহায় হয়ে পরছে বিভিন্ন চর ও বেড়ি বাধের বাহিরে থাকা মানুষগুলো। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার বাড়ি ঘড়। সদর উপজেলার ইলিশা, রাজাপুর, ধনিয়া, কাচিয়া, শিবপুরসহ দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাঁধের উপর দিয়ে পানি লোকালয়ে ডুকে পড়েছে।
জেলার ঢালচর, চর নিজাম, কাজীর চরসহ নিম্মাঞ্চলগুলো ৫ থেকে ১০ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। সদর উপজেলার ইলিশায় নদীতে গোসল করতে নেমে সুজন নামের এক যুবক নিখোঁজ হয়েছে।
জেলা শহরের নিকটবর্তী এলাকা নাছির মাঝি, তুলাতুলী এবং কোড়ারহাট এলাকায় পানি ডুকে জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
এবারের বর্ষায় এসব এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো ভেঙ্গে জেলা শহরে পানি ডুকতে পারে এমন আশঙ্কার কথা আগেই পাউবোকে জানানো হয়েছে কিন্তু পাউবো কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এখন ভোলা শহর রক্ষা বাঁধসহ ভোলাবাসী চরম হুমকির মুখে পড়েছে দাবী করে জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এবং ঝূঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো পরিদর্শন করে সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন।তারা
জানান, এক দিকে উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানির চাপ অপরদিকে পুর্ণিমা সেই সাথে যুক্ত হয়েছে সাগরে সৃষ্ট নিম্মচাপ, ফলে মেঘনা নদীতে আজ বিকালে জোয়ারের পানি বিপদ সীমার প্রায় ৪.৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি স্পটে বেড়িবাধ ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান জানান ভোলা সদর ও দৌলতখানের কিছু অংশে বেরীবাধের আংশিক ক্ষতি হয়েছে যা দ্রুত মেরামতের কাজ চলছে। এ দদিকে সকালে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন এবং জেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে সহযোগীতার কথা জানান। এদিকে দৌলতখানের ৫ টি ইউনিয়নের ৩২ গ্রান অস্বাভাবিক পানি বৃদ্বির কারনে প্লাবিত হয়ে পরেছে। বেরীবাধের বাহিরের এবং বিভিন্ন চরের অসংখ্য বাড়ি ঘড়, গবাদি পশু, হাঁস মুরগি পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে এবং অনেক বাড়ী ঘড় তলিয়ে গেছে বলে জানান স্থানীয় সাংবাদিক মামুন।সেখানে ভবানী পুর চেয়ারম্যান গোলাম নবী নবু ও হাজীপুরের চেয়ার ম্যান হামিদুর রহমান টিপু জানান তারা এমপি আলহাজ্ব আলী আযম মুকুলের তত্বাবধানে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে চিরা,গুর,মোমবাতি সহ ত্রান সহায়াতা পাঠিয়েছেন। এদিকে মনপুরার বিভিন্ন স্থান গতকাল পানি বৃদ্বি পেয়ে বিভিন্ন স্থানে তলিয়ে গেলেো আজ পানি কমতির দিকে বলে জানান স্থানীয় সাংবাদিক আমির হোসেন । বাপাউবো এর ডিভিশন ২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান গতকাল জোয়ার ও বৈরী আবহাওয়ার কারনে পানি বৃদ্বির ফলে তজুমুদ্দিন চাচড়া, লালমোহনের ফরাজগন্জ এর বেরীবাধের আংশিক ক্ষতি হয়েছে যা স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চোধুরী শাওন মহোদয় সাথে সাথেই আমাদের সাথে নিয়ে পরিদর্শন করেছন এবং আমরা দ্রুত কাজ করে ফেলেছি এখন আশংকা মুক্ত।তাছাড়া এখন জোযারের চাপ কিছুটা কম। তার পরও আমার প্রস্তুত আছি আল্লার রহমতে কোন সমস্যা হবে না বলে আশা করি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ