Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বানের পানিতে চাঁদপুর প্লাবিত

চাঁদপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০২০, ১১:৩৩ এএম

বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে চাঁদপুর শহর ও গ্রামাঞ্চলের প্রত্যন্ত জনপদ। সর্বত্রই বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। ৫ আগস্ট বুধবার বিকেলে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে পুরো জেলা জুড়ে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। হঠাৎ এরকম ঘটনায় চরম বিপাকে পড়ে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ।

চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের হাইমচর উপজেলার মহজমপুর ও চরভাঙ্গা এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পানির তোড়ে ভেঙে যায়। প্লাবিত হয়ে বাঁধের অভ্যন্তরের ঘরবাড়ি আবাদি জমি। ভেসে যায় পুকুরে চাষকৃত মাছ।

চাঁদপুর জেলার প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র পুরান বাজারে শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আকস্মিক জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শত শত বস্তা পণ্যসামগ্রী পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে।

বুধবার বিকেলে থেকে ধীরে ধীরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার পানিতে পরিণত হতে দেখা গেছে। রাত সাড়ে ৮ টায় শহরের বিভিন্ন সড়ক পানিতে ডুবে যেতে দেখা যায়। এর মধ্যে চাঁদপুর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়ক, চিত্রলেখা মোড়, হাজী মহসিন রোড, চাঁদপুর হাসান আলী স্কুল মাঠ, মিশন রোড, পালপাড়া, ঘোষ পাড়া, নতুন বাজার, গুয়াখোলা, প্রফেসর পাড়া কাজী নজরুল ইসলাম সড়ক স্টান্ড রোড , ট্রাক রোড এবং শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কসহ শহরের বিভিন্ন পাড়া, মহল্লা এবং বিভিন্ন সড়কগুলো বন্যার পানিতে ডুবে যেতে দেখা যায়। এতে করে ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। অনেক সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

এছাড়া পুরান বাজার, দোকানঘর, বহরিয়া , হাইমচর, চান্দ্রা, হানারচর, লক্ষীপুর, রামদাসদী, রাজরাজেশ্বর, ইব্রাহিমপুর,লক্ষীপুর, রঘুনাথপুর, কোড়ালিয়া, কাশিম বাজার, তরপুরচন্ডীসহ নদীর পাড় কেন্দ্রীক এলাকা গুলোতেও ব্যাপক পানি বৃদ্ধি পেতে দেখে গেছে। ফলে বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দোকানঘর লোহারপুল হয়ে নতুনবাজার পুরানবাজার ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটিতে পানির পরিমান বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। একই অবস্থা হয় পুরান বাজার থেকে নতুন বাজারে আসার আরো দুটি সড়কেরও।

এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় কিছু লোক রাস্তায় গাছ পেলে এমনকি বেড়িকেট দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। যার কারনে আটকা পড়ে যায় নতুন বাজারের উদ্দেশ্য আশা শত শত লোকজন ও বিভিন্ন যানবাহন।

এদিকে এদিন রেকর্ড পরিমান পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামাঞ্চলের বহু পরিবার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বেড়িবাঁধের সড়কের পাশে আশ্রয় নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। হঠাৎ করে চাঁদপুরে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। শহর জুড়ে পানিতে প্লাবিত হওয়ায় অনেকেই এটিকে ৮৮ কিংবা ৯৮ এর মতো ভয়াবহ বন্যার আশংকা বলে ধারনা করছেন।

তবে বৃহস্পতিবার সকালে জোয়ারের পানি কিছুটা কম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিকেলে পুনরায় পানি বৃদ্ধি পেলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। পানিবন্দি মানুষের অন্তহীন দুর্ভোগ সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা পরিস্থিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ