কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সরকারি ছয়টি প্রতিষ্ঠানে আবাসনের ব্যবস্থা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এখন থেকে তারা কোনও আবাসিক হোটেলে থাকতে পারবে না। গত ৩ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখার উপসচিব ড. বিলকিস বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, এখন থেকে সরকারি চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সেসব প্রতিষ্ঠানে থাকবেন সেসব প্রতিষ্ঠানসমূহ হচ্ছে- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ মানেজমেন্ট (বিআইএএম), জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি (এনএপিডি), ন্যাশনাল অ্যাক্যাডেমি অফ এডুকেশনাল ম্যানেজমেন্ট (এনএইএম), টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (টিটিসি) এবং জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি)। এসব প্রতিষ্ঠান একজন করে ফোকাল পয়েন্ট নিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, আবাসিক হোটেলে না থেকেও অনেক চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হোটেলের বিল তুলে নিয়েছেন। এ ধরণের অভিযোগের সত্যতা বা এ ধরনের নানা অনিয়ম খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা। সরকারের খরচ কমাতে পরিপত্র অনুযায়ী নির্ধারিত ভাতা দেয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, এসব স্থানে করোনা চিকিৎসায় সম্পৃক্ত সরকারি চিকিৎসক নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় খাবারসহ পৃথক আবাসন সুবিধা নিতে ফোকাল পয়েন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে সুবিধা নিশ্চিত করবেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী করোনা রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসিক হোটেলের বিল পরিশোধ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
পরিপত্র অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকার মধ্যে দায়িত্বপালনকারী একজন চিকিৎসক দৈনিক দুই হাজার টাকা এবং ঢাকার বাইরে এক ১৮০০ টাকা, একজন নার্স ঢাকার মধ্যে এক হাজার ২০০ ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে এক হাজার টাকা এবং একজন স্বাস্থ্যকর্মী ঢাকার মধ্যে ৮০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৬৫০ টাকা ভাতা পাবেন।