পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই নতুন অর্থবছরের শুরুতেই ঘুরে দাড়িয়েছে পণ্য রফতানি আয়। গতকাল মঙ্গলবার রফতানি উন্নয়ন ব্যুারো (ইপিবি) রফতানির হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, নতুন অর্থবছরের প্রথম জুলাই মাসে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৩৯১ কোটি ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ। এই অংক লক্ষ্যের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ কম। তবে তৈরি পোশাকে রফতানি আয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও প্রবৃদ্ধি কমেছে। জুলাই মাসে আয় এসেছে ৩২৪ কোটি ডলার। এছাড়া কৃষি, পাট, রসায়ন ও প্রকৌশলসহ অধিকাংশ খাতে পণ্য রফতানি আয় বেড়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার। এরমধ্যে প্রথম জুলাই মাসে রফতানি আয় এসেছে ৩৯১ কোটি ৯ লাখ ডলার। আগের বছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৮৮ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। এ হিসাবেই প্রবৃদ্ধি হয়েছে শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর লক্ষ্যের চেয়ে আয় বেড়েছে ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এর আগে গত অর্থবছরের জুন মাসে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি করে ২৭১ কোটি ৪৯ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। মে মাসে রফতানির পরিমাণ ছিল ১৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। গত এপ্রিলে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল মাত্র ৫২ কোটি ডলার। মূলত গত মার্চ থেকে দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ায় রফতানি আয় কমতে থাকে। কিন্তু এপ্রিল মাসে রফতানি আয় কম আসলেও এর পরের মাস থেকে আবার বাড়তে থাকে।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এপ্রিল মাসের পুরোটা সময় পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ ছিল। বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতিও ছিল খুব খারাপ। সে কারণে এপ্রিলে রপ্তানি তলানিতে নেমে এসেছিল। এখন বিশে^র প্রায় সব দেশেই লগডাউন শিথিল করা হয়েছে। এজন্য রফতানি আয় বাড়ছে। সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।
রফতানির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই মাসে ৩২৪ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। আগের বছরের চেয়ে পোশাক রপ্তানি কমেছে ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। তবে লক্ষ্যের চেয়ে আয় বেড়েছে ১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ। জুলাই মাসে নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৭৫ কোটি ২ লাখ ডলারের। নিট পোশাকে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেড়েছে ২৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৪৯ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি কম হয়েছে ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। তবে লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে ৪ শতাংশ।
গত ঈদ-উল-আযহার মতো এবারও বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি আয়ের উৎস চামড়া শিল্পের খরা কাটছে না। জুলাই মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে আয় এসেছে প্রায় ৯ কোটি ডলার। আগের বছরের তুলনায় ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমলেও রফতানি আয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে ১৬ দশমিক ২২ শতাংশ। গত অর্থবছরে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৩ কোটি ১৭ ডলার আয় করেছে। রপ্তানির এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। এ খাতের লক্ষ্য ছিল ৩ কোটি ৪৯ ডলার। আগের অর্থবছরে আয় হয়েছিল ৩ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। গত অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণে কমে যায় কৃষি পণ্য রপ্তানি আয়। তবে নতুন অর্থবছরের প্রথম মাসেই ঘুরে দাড়িয়েছে কৃষি পণ্য রফতানি আয়। জুলাই মাসে রফতানি আয় এসেছে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ দশমিক ৯২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে ১২ দশমিক ২৮ শতাংশ।
ধারাবাহিক লোকসানের কারণে সম্প্রতি দেশের সব সরকারি পাটকল বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই মহামারিকালে সরকারের এমন উদ্যোগের মধ্যেও আশা দেখাচ্ছে পাট রফতানি। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে পাট রফতানিতে। জুলাই মাসে ১০ কোটি ৩৫ লাখ ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ৫ দমমিক ৪৪ শতাংশ। এছাড়া ওষুধ রপ্তানিতেও রেকর্ড প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। ৪৯ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি ওষুধ রফতানিতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।