Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মঠবাড়িয়ায় কুরবানির পশুর অধিকাংশ চামড়া মাটিতে পুতে রাখা হয়েছে

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০২০, ৭:৩৩ পিএম

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় কুরবানীর পশুর চামড়ার মূল্যে সীমাহীন ধ্বস। প্রতিবছর কুরবানীর সময় মৌসুমী ব্যবসায়িরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে চামড়া ক্রয় করে চরম লোকশান দেয়ার কারনে এবছর কোন মৌসুমী ব্যবসায়ির দেখা পাওয়া যায়নি।
গত বছর যে চামড়াটি ২০০/২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এবছর তা ১০০/১৫০ টাকাও ছিলনা। এমনকি কোন ইয়াতিমখানা থেকেও চামড়া সংগ্রহ করতে দেখা যায়নি। চামড়া নিয়ে বিপাকে পরে অধিকাংশেই মাটিতে পুতে রেখেছে। চামড়ার মূল্য ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শতাধিক চামড়া ব্যবসায়ি এবং ক্ষতির মুখে পড়েছে ইয়াতিমখানা, দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ।
উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের খেতাছিড়া গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ আফজাল বেপারী জানান, তার গ্রামসহ পাশর্^বর্তী গ্রামে কোন চামড়া বিক্রি হয়নি। কিছু লোক চামড়া খওয়ার জন্য রেখেছে বাকীরা মাটিতে পুতে রেখেছে।
এব্যপারে জানতে চাইলে ব্যবসায়ি সতিশ দাস জানান, গত বছর তার ৬০ হাজার টাকা লোকশান হয়েছে। এবছর মাত্র ৩৫টি চামড়া কিনে সংরক্ষণ না করে সাথে সাথে বিক্রি করে দিয়েছে।
আরেক ব্যবসায়ি নান্টু রবিদাস জানান, গত ৪০ বছর ধরে চামড়ার ব্যবসা করলেও এবছর ১টি চামড়াও কিনেননি। গত বছর চামড়া কিনে মোকামে ২৫ হাজার টাকা লোকশানে বিক্রি করতে হয়েছে। নান্টু রবিদাস জানান, চামড়া ব্যবসায়ে ধ্বসের কারনে উপজেলার প্রায় শতাধিক চামড়া ব্যবসায়ি দুরাবস্থায় আছে।
উপজেলার মিরুখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল আহসান জানান, তাদের বাড়ির ৪ টি চামড়ার ক্রেতা না পেয়ে ১০০ টাকা খরচ দিয়ে কসাইর বাড়ি পাঠিয়েছে।
চালিতাবুনিয়া দ্বীনিয়া মাদ্রাসা ও ইয়াতিম খানার মুহতামিম মাওলানা আবুল কালাম জানান, কুরবানী দাতারা ৫/৬টি চামড়া ইয়াতিম খানায় দান করেছিল। ক্রেতা না পেয়ে তা মাটিতে পুঁতে রেখেছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ