Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুয়াকাটা সৈকতে দেশী বিদেশী পর্যটকের ভীড়

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০২০, ৭:০৯ পিএম

করোনা ভয়কে জয় করে পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটিতে কুয়াকাটা সৈকতে দেশী বিদেশী পর্যটকদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। হাজারো পর্যটকদের ভীড়ে কুয়াকাটায় দীর্ঘদিন পর আবার উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এই ঈদে কুয়াকাটার বিশেষ আর্কষণ সোমালিয়া থেকে আগত ৫ পর্যটক। করোনাকে ভয়কে জয় করে তারা কুয়াকাটা সৈকতে বেড়াতে এসেছে।

সৈকতে দেখা গেছে, আগত পর্যটকরা সমুদ্রের ঢেউয়ের তালে তাল মিলিয়ে নেচে গেয়ে সমুদ্রে গোসল, হৈ হুল্লোড় আর সৈকতে খেলাধুলা আনন্দের সীমা নেই পর্যটকদের মাঝে। সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের মনোলোভা দৃশ্য অবলোকন সহ সৈকতে বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর উম্মাদনা ভ্রমণের নতুন এক অনুভূতি জোগায়। কুয়াকাটার লেম্বুর চর, ঝাউবন, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির, কুয়াকাটার কুয়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইনদের তাতঁ পল্লী, আলীপুর-মহিপুর মৎস্যবন্দরসহ দর্শনীয় স্পটগুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা দেখা গেছে। রাতে সৈকতে জোসনার আলোয় সমুদ্রের ঢেউ আর ঢেউয়ের গর্জন আর এক অন্যরকম অনুভূতি মন ছুয়ে যায়। এছাড়া রাতে সৈকতের কোলঘেঁষে অবস্থিত মুখরোচক খাবার কাকড়া সহ বিভিন্ন প্রকার সমুদ্রের মাছ ফ্রাই খাওয়ার স্বাদই আলাদা। এমন মুখরোচক স্বাদ পর্যটকদের বার বার কুয়াকাটার কথা স্বরণ করিয়ে দেবে বলে মনে করেন ভ্রমণ বিলাসীরা।

আগত পর্যটকরা জানান, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতেই তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। নিজের দেশকে ঘুরে দেখার সূযোগ পেয়েছেন এই ঈদে। এখানকার সৌন্দর্য তাদের মুগদ্ধ করেছে। কুয়াকাটা এমন একটি সমুদ্র সৈকত যেখানে বার বার আসতে ইচ্ছে করবে অবসর পেলেই এমনটাই অভিমত পর্যটকদের।

পর্যটক রফিক আয়শা দম্পত্তি বলেন, কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, এখানকার মানুষজন তাদের খুবই ভালো লেগেছে। কুয়াকাটার প্রেমে পরে গেছেন তারা দুজন। তাই তারা বার বার কুয়াকাটা এসেছেন। রফিক আরো বলেন, বিশ্বের অন্যতম সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। দিনে দিনে কুয়াকাটা পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিতি বাড়ছে। বাড়ছে এখানকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন। কুয়াকাটার সাথে সারা দেশের সড়ক ও নদী পথের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে। বাড়ছে কুয়াকাটা পর্যটনের সক্ষমতা। কুয়াকাটাকে ঘিরে বর্তমান সরকার সূদুর প্রসারী উন্নয়ন পরিকল্পণা গ্রহণ করেছে। তবে এখানকার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও অন্নুত থাকায় এখানকার দর্শনীয় স্পট গুলো দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পর্যটকরা। খুলনা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক মিলন মিত্র বলেন, কুয়াকাটার হোটেলগুলো মোটামুটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। আমি দুই বছর পূর্বে একবার এসেছিলাম তখনকার চেয়ে এখনকার পরিবেশ সন্তোষজনক।

এবছর পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটক শুন্য হয়ে পরেছিলো। গত ১ জুলাই পর্যটনমুখী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আনুষ্টানিকভাবে খুলে দেয়ার পর এই ঈদে পর্যটকদের ভীড় বাড়তে শুরু করছে। ঈদের প্রথম দিন থেকেই কুয়াকাটায় শত শত পর্যটক আসতে থাকে। আবাসিক হোটেলগুলো কম বেশি বুকিং হয়েছে। তবে আবাসিক হোটেল সিকদার সিসোর্ট এন্ড ভিলাস, কুয়াকাটা গ্রান্ড, হোটেল গ্রেভার ইন, হোটেল সী ক্রাউন ইনসহ প্রথম শ্রেনীর হোটেলগুলোতে তেমন কোন ভীড় দেখা যায়নি।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোতালেব শরীফ জানান, করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে দীর্ঘ কয়েক মাস পর্যটনমুখী ব্যবসা বন্ধ থাকার পর এই প্রথম উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক এসেছে। অনেক পর্যটকরাই অগ্রিম হোটেল বুকিং দিচ্ছেন। এভাবে পর্যটকরা আসা অব্যাহত থাকলে আমাদের মন্দা কেটে যাবে। তিনি আরও বলেন, কুয়াকাটার প্রত্যকটি হোটেল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। তাই এখানে করোনা ভয় কম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ