Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রাজশাহীতে প্রতিটি ঈদের জামাতে মহামারি থেকে মুক্তির জন্য মোনাজাত

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০২০, ১১:০১ এএম

রাজশাহীতে ঈদের প্রতিটি জামাতেই মহামারি করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির ফরিয়াদ জানিয়ে মোনাজাত করা হয়েছে। দেয়া হয়েছে দেশ ও জাতির স্বার্থে সম্প্রীতি এবং সৌহার্দ্য রক্ষার ডাক। আহ্বান জানানো হয়েছে সন্ত্রাসবাদ পরিহারের। পৃথিবীর সবখানে মুসলিম উম্মাহর শান্তির জন্যও মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার রাজশাহীর কোনো ঈদগাহে বা খোলা স্থানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়নি। সবাই বাড়ি থেকে অজু করে মুখে মাস্ক পরে নিজ নিজ জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে গিয়ে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া করোনার কারণে ঈদ জামাত শেষে কোলাকুলি ও হাত মেলোনা থেকে বিরত থাকেন।
আজ শনিবার বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৮টায়। বিশাল এই ঈদ জামাতে ইমামতি করেন, মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি হাফেজ মওলানা মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এখানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতাসহ সাধারণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নগরীর কাদিরগঞ্জ জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন। রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা নামাজ আদায় করেন বাসায়। রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল নামাজ আদায় করেন কালেক্টরেট জামে মসজিদে।
রাজশাহীতে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) মসজিদে। তবে রাজশাহী মহানগরের ২৩৯টি ও জেলার নয়টি উপজেলার শতাধিক মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে। তবে বেশিরভাগ স্থানেই সকাল ৮টায় নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঈদের নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রয়াত পিতা-মাতা ও স্বজনদের রুহের মাগফেরাত কামনার জন্য বিভিন্ন গোরস্থানে যান এবং কবর জিয়ারত করেন। পরে ঈদ জামাত থেকে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে সবাই আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের আশায় হজরত ইব্রাহিমের (আ.) ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্মরণ করে সাধ্যমত পশু কোরবানি করছেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, ঈদের জামাতকে ঘিরে এবার কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কাউকে জায়নামাজ ছাড়া কোনো ব্যাগ, ভারি বস্তু বা অন্য কোনো দ্রব্যাদি বহন করতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া ঈদুল আজহার নামাজকে ঘিরে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। একইসঙ্গে মসজিদগুলোর আশপাশের এলাকায় সকাল থেকেই পুলিশি টহল বাড়ানো হয়। মহানগরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ