Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উজানে ভারতের গজাল ডোবা বাঁধ এলাকায় ৪৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত

কুড়িগ্রামে আবারো বন্যার তীব্রতা বাড়ার আশংকা

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০২০, ৯:৩৮ এএম

বন্যার পানি কমে সার্বিক পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হচ্ছিল ঠিক তখনি আবার নদ- নদীর পানি বাড়তে থাকায় তৃতীয় দফা বন্যার আভাস দিলো পানি উন্নয়ন বোর্ড । এবার ধরলা ও তিস্তার অববাহিকায় হতে পারে এ বন্যা। ইতিমধ্যে পানি বাড়তে শুরু করেছে এই দুই নদীর পানি। শুক্রবার সকালে ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রাম ব্রীজ পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে অন্যদিকে তিস্তারও পানি বাড়ছে। তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৮ সে.মি কমে বিপদসীমার ১৪ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহামুদ হাসান জানান, উজানে ভারতের গজাল ডোবা বাধঁ এলাকায় গেল ২৪ ঘন্টায় ৪৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেই পানি নেমে আসার ফলে দুইদিন কুড়িগ্রামের ধরলা এবং তিস্তা এই দুই নদীতে পানি বাড়বে। এতে ধরলায় বিপদসীমার ৬০ থেকে ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এছাড়া তিস্তায়ও সমহারে পানি বৃদ্ধি পাবে। দুই নদীর গতিবিধি সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে বন্যা কবলিত মানুষেরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মহীন হয়ে পড়ায় দুর্গত এলাকাগুলোতে খাদ্য সংকট বেড়েই চলেছে। সংকট বেড়েছে গৃহপালিত পশু-পাখির খাদ্যেরও। ছড়িয়ে পড়ছে পানি বাহিত রোগ ব্যাধি।
সরকারীভাবে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। তবে এবার খুব একটা চোখে পড়ছে না বেসরকারী ত্রাণ তৎপরতা।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান,সৃষ্ট বন্যায় এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার পরিবারকে ত্রান সামগ্রি বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৫২৫টি পরিবারের মাছে ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা পরিস্থিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ