পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে উদযাপিত হতে যাচ্ছে ঈদুল আজহা। সারা দেশেই চলছে পশু কোরবানির আয়োজন। রাজধানীতে নির্ধারিত জবাইখানা থাকলেও কোরবানির পশু জবাই করা হয় যত্রতত্র, রাস্তাঘাটে। এবারো তেমনটি ঘটলে পশু জবাই কেন্দ্র করে জনসমাগমের করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। এর সঙ্গে বাড়তে পারে আরেক প্রাণঘাতি ডেঙ্গুর প্রকোপ। সম্প্রতি সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোকে এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর সারা দেশে প্রায় এক কোটি ৫ লাখ পশু কোরবানি হলেও চলতি বছর করোনা মহামারীর ফলে পরিবর্তিত আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ২৫-৩০ শতাংশ কম পশু কোরবানির সম্ভাবনা রয়েছে। কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য সিটি করপোরেশনের এলাকাভিত্তিক জবাইখানা রয়েছে। সেখানে কোরবানির পশু জবাই নিশ্চিত করা প্রয়োজন। অন্যথায় যত্রতত্র পশু জবাইয়ের ফলে পরিবেশ দূষণ এবং ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি রয়েছে। করোনা মহামারীর মধ্যে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘটলে মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।
সংস্থাটি বলছে, করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ঢাকায়। এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীর ফ্ল্যাটবাড়ির পার্কিং এরিয়া, বাসাবাড়ির আঙিনা ও সামনের রাস্তাসহ যত্রতত্র কোরবানির পশু জবাই হলে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কসাই, কোরবানিদাতা, মাংস সংগ্রহকারীদের অধিক জনসমাগম ঘটবে। এতে করে মহামারী করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। এছাড়া ডেঙ্গুর মৌসুম হওয়ায় যত্রতত্র পশু জবাই করা হলে পরিবেশ দূষণের ফলে রোগটির প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা রয়েছে। কোনো কারণে করোনাকালে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘটলে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে। এ পরিস্থিতি এড়াতে সিটি করপোরেশনের এলাকাভিত্তিক নির্ধারিত জবাইখানায় কোরবানির পশু জবাইয়ে বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রয়োজন রয়েছে। এদিকে বরাবরের মতো এবারো কোরবানির পশুর চামড়ার প্রকৃত মূলপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে ট্যানারি ব্যবসায়ীরা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাটি। এসব বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বলেন, নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই এবং চামড়া পাচার রোধে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট আইনি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) পক্ষ থেকেও মনিটরিং করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।