Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিরাপত্তার ঝুঁকিতে বাংলাদেশের মানুষ

প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

হারুন-আর-রশিদ
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, দেশটাকে আমরা ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিলাম। ’৭১-এ ঐক্যবদ্ধভাবে দেশটাকে দানবের হাত থেকে আমরা রক্ষা করেছিলাম, শুধু রক্ষা নয় লাল-সবুজের একটি পতাকা দ্বারা দেশটাকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ হিসেবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদায় জাতিসংঘের সদস্যপদসহ আন্তর্জাতিক বহুপদের দ্বারা ভূষিত করেছিলাম। বিগত একদশক ধরে ধীরে ধীরে কোনো এক ভয়াবহ আতঙ্ক আমাদের চারিদিকে ঘুরপাক খাচ্ছে। রাস্তায় বের হলে সন্দেহ হয়, বাসায় কি নিরাপদে ফিরতে পারবো! ছেলেমেয়েরা স্কুল-কলেজে লেখাপড়া শেষে নিরাপদে বাসায় ফিরতে পারবে তো?
অভিভাবকরা বলছেন, নিরাপত্তাহীনতার কথা। জঙ্গি শব্দটি এখন এঁম বোমার চেয়েও ভয়ঙ্কর। ঘটনা যতটা না ঘটছে তার চেয়ে বেশি শাসকদলের মুখ থেকে খই ফোটার মতো অহরহ বের হচ্ছে। এতে ভীতিকর অবস্থা আরো দৃঢ় হচ্ছে। আমরা কি সারাজীবন ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করবো? হ্যাঁ, শুধু বাংলাদেশ নয়Ñগোটা দুনিয়ায় জঙ্গিবাদের সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনরা এর ব্যাপকতা নিয়ে যতটা বক্তৃতা করছেন, উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করছে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সরকারি দল এটা নিয়ে তেমনটা করছেন না, বরং তারা মনোযোগী সমস্যার গভীরে গিয়ে তা কীভাবে প্রশমন করা যায় সে দিকে। কিন্তু আমাদের দেশের বক্তব্য শুনলে মনে হয় প্রতি দিনই জঙ্গি হামলা হচ্ছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘ফিতনা ও আতঙ্ক সৃষ্টি করা হত্যার চেয়ে মারাত্মক।’ আমাদের নেতাদের যেন সে দিকে কোনো নজর নেই। জাতির মধ্যে ফেৎনা, বিভেদ, পরনিন্দা, গীবত ইত্যাদি ছড়িয়ে তারা মূলত তাগুতি শক্তিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন।
কেউ কেউ আবার নিজেদের মধ্যে ধর্মীয় মতভেদ সৃষ্টি করে ইহুদি-নাসারাদেরই পথই সুগম করছেন। চলমান বিশ্বে মুসলমানদের ভোগান্তিটা অন্যান্য ধর্মের মানুষদের চেয়ে বেশি হওয়ার পেছনের কারণটি হলো ফেৎনা ও বিভেদ। দেশের বড় দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দিক থেকে উভয়েই ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। সকলকে মিলেমিশে থাকার কথাও আল্লাহতায়ালা কোরআনে বারবার বলেছেন। সেটা দুটো দলের মধ্যে আছে বলে মনে হয় না। খারাপ কথা যা বিভেদ ও হিংসা ছড়ায় তা কোরআন শরিফে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও আমরা মানব রচিত বিধান-নিয়ে মাঠ গরম করছি, আর গোটা জাতিকে আতঙ্কের মধ্যে ফেলে দিচ্ছি। সত্যি কথা বলতে কি আমি ইদানীং টিভি খুব কমই দেখি। কারণ খুন-খারাবি, নির্যাতন, ধর্ষণ, শিশু হত্যা ও পুলিশের বাড়াবাড়ি এতোটাই মিডিয়া প্রদর্শিত হয় যা রাতের ঘুমকেও নষ্ট করে দেয়। এমনিই আমরা হাইব্রিট খাদ্য খেয়ে একমুঠো ওষুধ গলাধকরণ করতে হয় প্রতি রাতে। তারপর এই ভীতিকর দৃশ্য নিত্যদিন দেখতে কার ভালো লাগে বলুন? দেশটাকে তো এ জন্য স্বাধীন করা হয়নি। নিরাপদ একটি মাতৃভূমির স্বপ্ন আজ কিছু ব্যবসায়ী রাজনীতিক এবং তাদের সহচরদের কারণে ধ্বংসের পথে এগুচ্ছে। এটা মানুষ কখনো কামনা করেনি। এখন বাসা-বাড়িতে কেউ নিজেকে নিরাপদ ভাবছে না। যেমন ’৭১ সালে আমার মরহুম পিতা-নিজের বাসায় ৯ মাসে একদিনও থাকতে পারেনি। বাড়িটিও শত্রুর ন্যাপাম বোমায় পুরে গেছে। চোখের সামনে সেই দৃশ্যর কথা মনে হলে-গোটা শরীরের পশম এখনও খাড়া হয়ে ওঠে। ৪৫ বছর ধরে আমরা আমাদের ক্ষত শরীরটাকে এখনো ভালো করতে পারিনি। মনটাও দূষণে আক্রান্ত ধর্মকর্ম এ কারণে উপকারে আসছে না।
উন্নয়নের পথে ধীরগতিতে হলেও এগুচ্ছিল বাংলাদেশ। একতাই শক্তি বা বল কথাটি রাজনীতিকরা আমাদের চেয়ে ভালো জানেন। দেশকে গড়ার জন্য ঐক্য প্রয়োজন। নিজ নিজ প্লাটফরম থেকে যদি কোনো দল বলে দেশে ঐক্য বিরাজ করছে। আমরা কীভাবে বুঝবোÑসেটাই প্রশ্ন? একটি বৃহত্তর বিরোধী দল ব্যতিরেকে কোনোভাবেই জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠতে পারে না। সালিশ মানি কিন্তু তালগাছটা আমার। এ ধরনের মনোভাব থেকে সরে আসতে হবে। ১৪ দল বা ২০ দল দিয়ে জাতীয় ঐক্য কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যখন ১৪ প্লাস ২০ সমান সমান ৩৪ দল একই সুরে কথা বলবে তখন শুধু জঙ্গি নয় সব অরুচিপূর্ণ কর্মকা- দেশ থেকে পালানোর পথ খুঁজবে। এটাই বাস্তবতা। আর এই বাস্তবতাকে যারা অগ্রাহ্য করবে এক সময়ে তাদেরকেই জনতার কাঠগড়ায় আসামি হিসেবে দাঁড়াতে হবে। ’৪৭, ’৫২, ’৬২, ’৬৬, ’৬৯, ’৭১ এবং ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে ইস্পাত কঠিন জাতীয় ঐক্যের কারণে কোনো স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক সরকার টিকে থাকতে পারেনি। পেছনের ইতিহাসের পাতা একটু উল্টান, সবকিছুই বাইফোকাল চশমার মতো স্বচ্ছভাবে দেখতে পাবেন। বয়স বাড়লে রাজনীতিকরা চোখের সমস্যায় ভোগেন। আরো ভোগেন স্মৃতি ভ্রষ্টতায়। এ কারণে ক্ষমতায় থাকলে পেছনের দিকে তাকান না বলেই পরিণতি ভয়াবহ হয়। অতীতে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত হওয়ার পর থেকে এ অঞ্চলে বিশেষ করে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের শাসনামলে প্রায় ৭০ বছরের ইতিহাসই যথেষ্ট, শিক্ষা নেওয়ার জন্য।
মোঘল এবং সুলতানি আমলও হিন্দু রাজা-মহারাজাসহ ব্রিটিশ শাসনামলের ৭০০ খ্রি. থেকে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১২শ বছরের ইতিহাসের কথা বাদই দিলাম। আমাদের শিক্ষা বা পাঠ গ্রহণ ১৯৪৭-২০১৬ পর্যন্ত আমি ব্র্যাকেট বন্দি করে রাখলাম নিজেদের দায়বদ্ধতার জন্য। আমাদের শুদ্ধাচারের অভাবের কারণে এ অঞ্চলের মানুষ ভোগান্তির কবল থেকে রেহাই পায়নি। এ জন্য আমরা কাকে দায়ী করবোÑপ্রশ্নটির জবাব সুপ্রিয় সচেতন পাঠক সমাজের উপর অর্পণ করলাম। নতুন প্রজন্ম এবং আগামী প্রজন্মকে যতই অন্ধকারের পথে ঠেলে দেয়া হোক না কেন তারা যথাসময়েই জেগে উঠবে। নতুন ও আগামী প্রজন্মের তরুণরাই গড়ে তুলবে সত্যিকারের বাংলাদেশÑইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে তারা যথা সময়ে জেগে উঠবে। লক্ষণীয় বিষয় হলো, যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তারা নিজেদের সুবিধার্থে সংসদ-সংবিধান-গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ঢেলে সাজান তখন দেশটা গণপ্রজাতন্ত্রী থেকে দলীয় প্রজাতন্ত্রে রূপ নেয়। আমরা মনে করি, দেশের তরুণ সমাজ জনস্বার্থবিরোধী এসব কর্মকা-ে বিরোধিতা করবে। যদিও একটু সময় লাগবে।
গত ২৯ জুলাই ২০১৬ একটি জাতীয় দৈনিকে লিড ছিল, ‘সুন্দরবনের রাজা-রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলতে গেলে বিলুপ্ত প্রায়’। বাঘ হত্যায় ইন্টারপোলের প্রতিবেদনে ৩২ ব্যক্তির নাম উঠেছে। ২০০৪ সালে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল- ৪৪০টি, তা কমে ২০১৫ সালে দাঁড়িয়েছে ১০৬টিতে। বনের রক্ষক হয়ে গেছে ভক্ষক। ২০০৮ সালে ইর্মাজেন্সি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বনের রক্ষকের বাড়িতে লেপ-তোষকের ভিতরে লক্ষ লক্ষ টাকার বান্ডিল পাওয়া যায়Ñএ দৃশ্য ফোকাস করেছে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়ও। নদীতে মাছ নেই। পানি থাকলে তো মাছ থাকবে। বয়লারের মুরগিও খাওয়া নিরাপদ না। ছোট বয়সে দেখেছি, মেহমান আসলে দেশি মুরগি ধরতে হতো, পুকুরে জাল মারতে হতোÑপ্রাকৃতিক শক্তিতে ভরপুর থাকায় মুরগিগুলো উড়তেও পারে পাখির মতো। ফার্মের মুরগি ঝিমায়-নড়তে-চরতে পারে না। সেই মুরগি আমরা খাই বলেই অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগছি। রাস্তার মোরে মোরে এতো ডিসপেনসারি ও ডাইগোনস্টিক সেন্টার এবং হাসপাতাল, বাসা-বাড়ির চেয়েও এদের সংখ্যা নাকি মহানগরীতে এখন বেশি। সরকারি-বেসরকারি ছাড়াও এনজিওদের হাসপাতালেও রোগীর জন্য পা ফেলা অনেক কষ্টকর।
ষাটের দশকের কথা এখনো আমর মনে আছে, দাদা ও নানা ভাইকে দেখিনি। আমার জন্মের আগেই না ফেরার দেশে চলে গেছেন। মার কাছে নানা ভাইয়ের অনেক গল্প শুনেছি সে নাকি গোটা গ্রাম চষে বেড়াতো-অত্যন্ত সাহসী মানুষ ছিল। তবে একটি কথা শুনে অবাক হলাম, মায়ের কাছ থেকে। নানা ভাই দরজা খুলে ঘুমাতেন, তখন নাকি আজকের মতো এতো দামি তালা-চাবি দরজায় লাগানোর প্রয়োজন হতো না। কালেভদ্রে এলাকায় দুই একটি ডাকাতি হলেও আমার নানা বাড়িতে কখনো ডাকাতি হয়নি। এ ছিল স্বাধীনের পূর্বের অবস্থা। এখন আমরা প্রগতিশীল হয়েছি। মধ্য আয়ের দেশের পথে এগুচ্ছি কিন্তু নৈতিকতার এতো ধস কয়েক দশক পূর্বেও এতটা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেনি। শিশু হত্যা এ যেন এখন একটি রুটিন ওয়ার্ক। নারী ধর্ষণ শুধু নয়, গণধর্ষণ তারপর খুনÑআবার ভিডিও করে ফেসবুকে চালান করে দেওয়াও কি এই প্রগতিশীলতার বহিঃপ্রকাশ? ইদানীং রসময়গুপ্তর উলংগ নারী-পুরুষের ছবি কলকাতা থেকে প্রিন্ট হয়ে নীল ক্ষেত ও বাংলাবাজারের বই পাড়ায় দেদারছে বিক্রি হচ্ছে। এর পাঠক চাহিদাও অনেক। রাস্তায় হাঁটার সময় পেছন থেকে একটি ডাক শুনবেন-ভাই লাগবো নাকি, আনন্দ-উপভোগ করার সবকিছুই আছে। নৈতিকতার অবনতি এভাবেই ঘটছে। ড. জাকির নায়েক গোটা বিশ্বে জঙ্গিবাদী উসকে দিচ্ছেÑএই অভিযোগে পিস টিভি চ্যানেলটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে অনুসরণ করে অফ করে দেওয়া হয়। কিছু ওলামাও যেন খুশি। তারা বলেন, উনি কবে মুফতি হয়েছেন যে পিস টিভিতে ফতোয়া দিয়ে বেড়াচ্ছেন?
ভারত ও বাংলাদেশ সরকার যথাসময়ে কাজটি করেছেন। ইসলাম উদ্ধার পেল। অন্যদিকে ভারতীয় বারবনিতা, বলিউডের নর্তক-নর্তকীদের অর্ধ উলঙ্গ ছবি বাংলাদেশের আবহমান কাল থেকে চালু থাকা সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের বিপর্যয় ঘটালো প্রায় ৫০-এর অধিক বিকৃতরুচির বিনোদনমূলক চ্যানেলের মাধ্যমে। অথচ, কারো কোনো প্রশ্ন নেই এ ব্যাপারে। দয়া করে বলুন, শ্রদ্ধাভাজন আলেম সমাজ, আল্লাহর কাছে কী জবাব দেবেন? এই অপসংস্কৃতি যা এখন স্মার্টফোনেও ডাউনলোড করে দেখানো হচ্ছে। তরুণ সমাজ কেন বিপথে গমন করেছে সেজন্য দেশের আলেম-ওলামারাও দায় এড়াতে পারবেন না, বিশেষ করে শেষ বিচারের দিনে আল্লাহর কাঠগড়ায়। ভারতীয় চ্যানেল না দেখলে অনেক নারী-পুরুষের পেটের ভাত হজম হয় না। এ নিয়ে বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় গেলে নানা গল্প শোনা যায়। মাদরাসার ছেলেদের হাতেও দেখা যায় স্মার্ট ফোন তাও একেবারে লেটেস্ট মডেলের। জঙ্গির চেয়ে এসব বিনোদন প্রযুক্তিও সমাজকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে কম দায়ী নয়। যে মোবাইল সেটে নগ্ন ছবি দেখার ব্যবস্থা আছেÑ সেই সেটে কোরআনকে আপলোড করে দেয়া হয়েছে। বিজাতীয় কালচারের এই দূরদর্শিতার প্রসংসা করতে হয়।
ইসলামকে মর্ডানাইজ করতে গিয়ে পবিত্র রমজান মাসে দুবাই ব্রুজ হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান থেকে অবাক হলাম। রমজানের গান এরাবিক উচ্চারণে হলেও তা ছিল ব্যালে ড্যান্সের কায়দায়। অনেক আরবীয়দের ঐ অনুষ্ঠান উপভোগ করতে দেখে বিশেষ করে রমজান মাসে তখন ভাবলামÑবিজাতীয় অপসংস্কৃতির আগ্রাসন গোটা আরব বিশ্বেও ছড়িয়ে পড়েছে।
জঙ্গি দমন করুন ভালো কথা, জঙ্গি উৎপাদক শক্তিদের মূলৎপাটন করতে না পারলে জঙ্গির চাষ আরও বাড়বে। নৈতিকতার ধস-জঙ্গি উত্থানের মূল কারণ। গণ মাধ্যমগুলোকে শুদ্ধতায় ফিরে আসতে হবে। বাঙালির বেশভূষা রাঙালির মতো হতে হবে। মানুষের চরিত্র যতো অধঃপতিতের দিকে যাবে, হতাশায় আক্রান্ত হবে ততবেশি যুব ও তরুণ সমাজ। উচ্চবিত্ত পরিবারে নি¤œবিত্তের পরিবারের চেয়ে জ্যামিতিক হারে অসামাজিকতা বেড়ে যাওয়ার প্রাসঙ্গিক কারণ মূলত এটাই। সমাজটাকে কীভাবে নগ্নছবির ভাইরাস দ্বারা, স্যাটেলাইট টিভি বা আকাশ এবং পকেট মিডিয়ায় আবদ্ধ করে জাতির মেরুদ-কে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, সে দিকে প্রশাসন যন্ত্রের কোনো নজর আছে বলে মনে হয় না।
একটি জরিপ নিন- টিএসসি বা কোনো ক্যাফেটরিয়ায় বা বিনোদন চর্চা কেন্দ্রে তারা কী করে, একবারও কিÑ পুলিশ প্রশাসন খোঁজ নিয়ে দেখেছেন? কেন নারী ও শিশুরা জ্যামিতিক হারে ধর্ষিত হচ্ছে। বাবা ছেলেকে, ছেলে বাবাকে, মেয়ে বাবা-মাকে কিছু দিন আগে একত্রে বন্ধুদের দ্বারা খুন করেছে। এসব ভেবে দেখার মানুষ সমাজে মনে হয় কমে গেছে। আসুন, আমরা সবাই ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে রক্ষা করি।
য় লেখক : গ্রন্থকার, গবেষক ও কলামিস্ট
যধৎঁহৎধংযরফধৎ@মসধরষ.পড়স



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিরাপত্তার ঝুঁকিতে বাংলাদেশের মানুষ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ