বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুড়িগ্রামে কমতে শুরু করেছে সবকটি নদীর পানি। ফলে উন্নতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির।নদী অববাহিকার পানিবন্দী পরিবারগুলোর মধ্যে অনেকেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন। করোনা পরবর্তী বন্যার্তদের মাঝে সরকারি সহায়তা অব্যাহত থাকলেও এনজিওরা হাত গুটিয়ে বসে আছে। এ দাবি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিমের।
বন্যার্তরা সাময়িক জলবন্দী অবস্থা থেকে কিছুটা মুক্তি পেলেও এখন ভাঙা বাড়িঘর ও সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে রয়েছে দুশ্চিন্তায়। বিধ্বস্ত বাড়ি-ঘর মেরাত করে বাসযোগ্য করতে প্রয়োজন নগদ টাকা। যা তাদের হাতে নেই। এছাড়াও আসন্ন ঈদ ঘিরে তাদের কোন প্রস্তুতিও নেই। বুধবার সকালে ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১৯সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর এবং ধরলা নদীর পানি ব্রীজ পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে নিশ্চিত করেন কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম। বানভাসি মানুষদের সহায়তায় সরকার জেলার ৪লাখ ২৮ হাজার ৫২৫জনকে ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) এর আওতায় ১০কেজি করে চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে। ঈদ এবং বন্যা উপলক্ষ্যে অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বন্যার্তদের ঈদ উপলক্ষে ৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৫২৫টি পরিবারের মাছে ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাল বিতরণ চলছে। যা বুধবার (২৯/০৭/২০) বিতরণ শেষ হবে। এছাড়া দু’দফা বন্যায় ৪৯২ দশমিক ৭২ মে.টন জিআর চাল,জিআর ক্যাশ ৪৯লাখ ৬৮হাজার ৫শত টাকা, শুকনা খাবার ৬হাজার প্যাকেট, শিশু খাদ্য ৪লাখ টাকার , গো-খাদ্য ৪লাখ টাকার বিতরণ করা হয়। এর আগে করোনা মোকাবেলায় ২লাখ ৭১হাজার ২০০জন কর্মহীন দুস্থ পরিবারের মাঝে ২হাজার ৭১২ মেট্রিক টন জিআর চাল, ৪২ হাজার ৫৪৭টি পরিবারের মাঝে এক কোটি ২৭লাখ ৬৪ হাজার টাকা জিআর ক্যাশ এবং ১৫হাজার ৯৩৮ টি পরিবারের মধ্যে ৫১ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়। এর বাইরে ২০টি শ্রেণি পেশার ৯০হাজার মানুষের মাঝে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে জনপ্রতি আড়াই হাজার টাকা প্রদান করা হয়। যার পরিমান ২২ কোটি ৫০লাখ টাকা।
তিনি আরো বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সুবিধাভোগী পরিবার ৪৬ হাজার ৫৩৯টি, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় এক লাখ ২৬ হাজার ৯৩৪টি, খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর আওতায় এক লাখ ৪১ হাজার ৮৬৫টি পরিবার রয়েছে। এছাড়া কুড়িগ্রাম, উলিপুর ও নাগেশ্বরী পৌরসভার ১৭হাজার সুবিধাভোগীকে বিশেষ ওএমএস এর আওতায় মাসে ২০ কেজি করে চাল ১০টাকা মূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। অথচ এনজিও গুলো মাঠ পর্যায়ে কাজ করার দাবী করলেও দুর্যোগে অসহায় মানুষর পাশে দাঁড়ায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।